শেখর চন্দ্র, আসানসোল: খোলামুখ খনির মৃত্যুফাঁদে পড়ে প্রাণ হারাল আসানসোলের (Asansol) নিখোঁজ ছাত্রী। শুক্রবার সকালে সালানপুর এলাকা থেকে উদ্ধার হল তার দেহ (Deadbody)। দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর নাম ঊষা বাউরি। সালানপুরের সামডি গ্রামের বাসিন্দা ঊষা বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই নিখোঁজ ছিল। বিকেলে দোকানে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। কিন্তু সন্ধে গড়িয়ে রাত নামলেও ফিরে আসেনি। পরিবার দুশ্চিন্তায় থাকলেও তখনই পুলিশের দ্বারস্থ হয়নি। আজ সকালে সালানপুরের খোলামুখ খনির খাদে তার দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। তা উদ্ধার করেন পুলিশ ও CISF জওয়ানরা। কীভাবে লোকালয় থেকে তুলনায় নির্জন এলাকার ওই খোলামুখ খনির কাছে চলে গেল, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঊষা দোকান যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারপর আর রাতে ফেরেনি। আর সকালে আলকুশা গ্রামের কাছে তার দেহ এভাবে উদ্ধার হওয়ায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রায় ৩০০ ফুট নিচ থেকে দেহটি উদ্ধার করেন CISF জওয়ানরা। আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা নাকি খুন (Murder) – সেই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও পরিবারের দাবি, বাড়িতে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। ফলে আত্মহত্যা করেনি বলেই দাবি তাঁদের। আর এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, ভাল ছাত্রী হিসেবে পরিচিত ঊষা। তবে কি কোনওভাবে সে খোলামুখ খনির দিকে চলে গিয়েছিল? সেখানে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে? নাকি পরিকল্পিতভাবে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে কেউ খুন করেছে? হাজারও প্রশ্ন উঠেছে।
আসানসোল কয়লাখনি অঞ্চলে এই খোলামুখ খনিই সবচেয়ে বিপজ্জনক। তাই এসব সাধারণত লোকালয়ে থেকে দূরেই থাকে। এতদিন সাধারণত খোলামুখ খনিতে কয়লা তুলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন শ্রমিকরা, এমন খবরই পাওয়া যেত। কিন্তু সাধারণ মানুষজনের এই এলাকায় প্রবেশ প্রায় নিষিদ্ধ হওয়ায় এ ধরনের মৃত্যুর খবর মেলেনি। ফলে খোলামুখ খনির মরণফাঁদে কীভাবে পড়ল এই ছাত্রী, তা বেশ ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.