Advertisement
Advertisement
North Dinajpur

ভিনরাজ্যে শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে বচসায় ‘খুন’! দেড়মাস পর মাটি খুঁড়ে উদ্ধার দেহ

বকেয়া টাকা চাইতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি ওই ব্যক্তি, নিখোঁজ ডায়েরির উপর ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে।

Deadbody of a man rescued after one and half month of missing in North Dinajpur

এই পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ। নিজস্ব ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 15, 2025 8:56 pm
  • Updated:March 15, 2025 8:59 pm  

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: সহকর্মীর বাড়িতে ঘুরতে এসে আর খোঁজ মিলছিল না ব্যক্তির। নিরুদ্দেশ হওয়ার দেড় মাসের মাথায় সেই সহকর্মীর বাড়ি সংলগ্ন নির্জন মাঠ লাগোয়া ডোবার মাটি খুঁড়ে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের পতিরাজপুর পঞ্চায়েতের সান্ধিয়া গ্রামের ঘটনা। খুনের অভিযোগে সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মৃতের নামে জামেরুল হক, বয়স ৫০ বছর। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থানার খারুয়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় ভিনরাজ্যে শ্রমিক সরবরাহের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও পুত্র সন্তান রয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সহকর্মীকে, তার নাম ফণী সরকার। ইটাহারের পতিরাজপুর এলাকার বাসিন্দা ফণী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বন্ধু একসঙ্গে ভিনরাজ্যে শ্রমিক সরবরাহের কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়েকদিন ধরের দুই বন্ধুর মধ্যে টাকা লেনদেন নিয়ে অশান্তি চলছিল। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকালে হরিরামপুর থেকে ইটাহারে ফণী সরকারের বাড়িতে এসেছিলেন জামেরুল হক। তারপর থেকেই কোনও হদিশ মিলছিল না বলে পরিবারের অভিযোগ। খোঁজখবর করেও কোনও কিনারা না মেলায় হরিরামপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শেষপর্যন্ত শনিবার ইটাহারের ডোবা খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের স্ত্রী সহেলা বিবির অভিযোগ, “বকেয়া টাকা চাইতে ইটাহারের বাড়িতে গিয়েছিল গত শনিবার স্বামী। তারপর আর বাড়ি ফিরেনি স্বামী।” হরিরামপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানানো হয়েছিল।

Advertisement

ইটাহার আর হরিরামপুর থানা যৌথভাবে পতিরাজপুরের ডোবা খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করা হয়। স্বামীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সানা আখতার বলেন, “হরিরামপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ সঠিক জানা যাবে।” এদিন ইটাহার এবং হরিরামপুর থানার পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নেমে ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে ধৃত ফণী সরকারের বাড়ির সংলগ্ন নির্জন এলাকার একটি ডোবার মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে মৃত দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement