এই কাঠের মিলে দেহ উদ্ধার হয়েছে।
শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: কাঠের মিল থেকে এক ব্যক্তির চোখ উপড়ানো দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়িতে। মৃতের নাম জগদীশ রায় (৪০)। পেশায় রাজমিস্ত্রি জগদীশবাবু পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। এদিন সকালে স্থানীয়রাই প্রথমে জগদীশবাবুর দেহটি দেখতে পেয়ে চেঁচামেচি শুরু করেন। ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে ওই মিলে পৌঁছায় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় স্বামীকে খুনের অভিযোগ তুলেছেন মৃতের স্ত্রী কমলা রায়।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে মাটিগাড়া পতিরামজোত এলাকার বিনয়কৃষ্ণ পল্লিতে জগদীশ রায়ের বাড়ি। দিন পাঁচেক আগে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি। এনিয়ে পরিবারের তরফে থানায় কোনও নিখোঁজের অভিযোগও দায়ের হয়নি। তবে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া জগদীশ রায়ের দেহ কীভাবে এলাকার কাঠের মিলে এল, তানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মিলের কাঠ চেরাই কলের সামনেই দেহটি পড়ে আছে। অভিযুক্তরা খুনের পর চোখ উপড়ে নিয়ে মৃতদেহের মুখে অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছে। এই খুনের ঘটনায় মিল মালিক বিশ্বনাথ ধানুকার কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও দেহ উদ্ধারের পর থেকে অশোক ধানুকার কোনও খোঁজ মিলছে। তাঁর মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে বলে খবর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জগদীশবাবুর খুনের ঘটনায় মিল মালিকের হাত রয়েছে। ওই মিলটিতে কাঠ চেরাই বাদ দিয়ে নানারকম অসামাজিক কাজকর্ম বেশি চলত। রাত বাড়লেই সমাজবিরোধীদের ভিড় বাড়ত মিলে। মদ থেকে শুরু করে জুয়ার আসর, কোনও কিছুই বাদ ছিল না। লোকালয়ের মধ্যেই মিলের অবস্থান। আলাদা কোনও পাঁচিলও নেই। মিলের মধ্যে থাকা পায়ে চলা পথেই স্থানীয়রা যাতায়াত করেন। সন্ধ্যা নামলেই মহিলারা আর ওই পথে যাতায়াত করতে পারেন না। থানা সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির জোন ওয়ানের ডিসিপি গৌরব লাল জানিয়েছেন, কাঠের মিল থেকে একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। একই সঙ্গে মিল মালিক বিশ্বনাথ ধানুকার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে মৃতের পরিবারের তরফে এখনও পর্য্ন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
[পাঁশকুড়ার কাছে লাইনচ্যুত ধৌলি এক্সপ্রেসের কামরা, ঘটনাস্থলে রেলকর্তারা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.