Advertisement
Advertisement

Breaking News

মৃত

সিকিমে দুর্ঘটনায় স্বজনহারা, চোখে জল নিয়েই কর্তব্যের টানে দলের কাজে বৃদ্ধ

শোকের ছায়া তৃণমূলের কার্যালয়েও।

Dead body of five tourist died in sikim returned home
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 1, 2019 8:36 pm
  • Updated:May 1, 2019 8:36 pm  

অর্ণব আইচ: চোখে জল নিয়েই ভোট দেব। ভোট করাবও। জানি, কষ্টে বুক ফাটবে। কিন্তু সেটাও যে কর্তব্য। উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার এলাকার ৩ এ মদনমোহনতলা স্ট্রিটে নিজের বাড়ির একতলায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে মানস কর। তাঁর হাতে একটি ছবি। ভাইপো, ভাইপোর স্ত্রী ও নাতি। মাস কয়েক আগে পুরী বেড়াতে গিয়ে তোলা। চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না মানসবাবু। গত রবিবার রাতে পূর্ব সিকিমের পাহাড়ি রাস্তায় চাকা পিছলে খাদে পড়ে যায় গাড়ি। সেই গাড়িতেই ছিলেন তাঁর ভাইপো সন্দীপ কর, ভাইপোর স্ত্রী সোমা ও নাতি সূর্যাশিস। মায়ের কোল আঁকড়ে থাকায় বেঁচে যায় ৬ বছরের সূর্যাশিস। কিন্তু ফেরেননি সন্দীপ ও সোমা কর। এই দম্পতি ও তাঁদের আরও তিন আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে।

[আরও পড়ুন: দিঘার হোটেলে হেনস্তার শিকার, মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন চার তরুণী]

মানসবাবু জানান, তিনি ও তাঁর দাদা অর্থাৎ সন্দীপের বাবা আশিস কর সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত। আশিসবাবু উত্তর কলকাতার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। মানসবাবুও বহুদিন ধরে দল করছেন। তাঁদেরই বাড়ির ছেলে সন্দীপ কর সক্রিয়ভাবে রাজনীতি না করলেও দলীয় কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর হবেন না ই-বা কেন? তাঁদের বাড়ির নিচে যে দলীয় অফিস। ভোটের আগে দলীয় কার্যালয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কর্মীদের ব্যস্ততা। নেতাদের আনাগোনা। তাই সন্দীপরা জানতেন যে, মে মাসে তাঁরা দম ফেলার সময় পাবেন না। ১৯ মে ভোটের আগে ব্যস্ততা থাকবে তুঙ্গে। সেই কারণেই এপ্রিল মাসে স্ত্রী, ছেলে ও মামা শ্বশুরের পরিবারকে নিয়ে সিকিম বেড়াতে গিয়েছিলেন সন্দীপ।

Advertisement

কলকাতায় ফিরে আসার পর কোথায় ভোটের কাজ করবেন, তার বদলে সন্দীপ-সোমাদের কলকাতায় ফিরতে হচ্ছে কফিনে। এই বাস্তবটাই মেনে নিতে হচ্ছে কর পরিবারকে। একমাত্র ছেলে ও পুত্রবধূর কথা ভেবে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন সন্দীপের মা স্বপ্না কর। মঙ্গলবারই বিমানে করে নাতিকে নিয়ে কলকাতায় ফেরেন আশিসবাবু। বুধবার সকালে কলকাতায় পৌঁছায় পাঁচজনের দেহ। 

[আরও পড়ুন: মমতার উচ্চারণ নিয়ে কটাক্ষ, সূর্যকান্তকে কড়া জবাব নেটিজেনদের]

সোমবার সকালে সন্দীপ-সোমার মৃত্যুর খবর আসার পর থেকে নিষ্প্রদীপ হয়ে রয়েছে দলীয় কার্যালয়। কিন্তু ভোটের আগে রাজনীতিও যে তাঁদের কর্তব্য। তিনি বলেন, “চোখে জল নিয়ে আমরা ভোট দেব। আর কর্তব্যের খাতিরে ভোটও করাব। তার আগেও প্রার্থীর জন্য প্রচারও আছে। বুকে কষ্ট নিয়ে প্রচারের কাজেও নামতে হবে।” ভোট শেষের পর ছোট্ট সূর্যাশিসকে মানুষ করাই প্রধান কর্তব্য কর পরিবারের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement