ছবি: প্রতীকী
শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: সাতসকালে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এক ছাত্রের। শুক্রবার সকালে রঘুনাথগঞ্জের (Raghunathganj) কাউয়াপাড়া এলাকায় পাশের বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় তার রক্তাক্ত মৃতদেহ। কীভাবে তার মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা পরিবারে। আত্মহত্যা নাকি খুন হয়েছে ছাত্র, সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ছাত্রকে মারধর করে খুন করা হয়েছে।
রঘুনাথগঞ্জের কাউয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা শহিদ আফ্রিদি, বয়স ১৬ বছর। জঙ্গিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র (Student) আফ্রিদি। তার বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ দু’ নম্বর ব্লকের কাশিয়াডাঙা এলাকায়। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে রঘুনাথগঞ্জের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানেই থাকত তার পরিবার। পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করছিল শহিদ আফ্রিদি। বাড়ির লোক আরও রাতের দিকে তার খোঁজ করে। তখন আর আফ্রিদিকে পড়ার ঘর বা অন্য কোথাও দেখা যায়নি। চিন্তিত হলেও রাতের মতো পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে পাঁচকান করেননি।
এরপর শুক্রবার সকালে ফের আফ্রিদির খোঁজ শুরু হয়। আর সকাল সকাল পাশের বাড়ির ছাদ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য রঘুনাথগঞ্জ শহরে। ছাত্রের এমন রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে। কীভাবে তার মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখতে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, আফ্রিদির ঘাড়ের কাছে আঘাত রয়েছে। রক্তও দেখা গিয়েছে। তবে কি সে খুন হয়েছে? কিন্তু কেনই বা এমন মর্মান্তিক পরিণতি? এ বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে পরিবার। কীভাবেই বা তার দেহ পাশের বাড়ির ছাদে পাওয়া গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। নাকি আত্মঘাতী হয়েছে আফ্রিদি? ময়নাতদন্তের (Postmortem) রিপোর্টেই সেসব উত্তর মিলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.