ব্রতীন দাস: পাহাড়ে ধ্বংসের পথেই অটল মোর্চা। বেছে বেছে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার পালা অব্যাহত। মোর্চার এই তাণ্ডব থেকে রেহাই পেল না পাঠাগারও। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্থানীয় প্রেমচাঁদ পাঠাগার পুড়িয়ে দেয় মোর্চা সমর্থকরা। জানা গিয়েছে, ওই পাঠাগারে বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য বই ছিল। যা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর আগেও কালিম্পং পাঠাগারে আগুন দিয়েছিল মোর্চা। তবে এদিন প্রেমচাঁদ পাঠাগার নষ্ট করায় বেশ ক্ষুব্ধ বইপ্রেমীরা।
[ক্যামাক স্ট্রিটের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভয়াবহ আগুন]
এদিন রাতেই দুধিয়ায় পর্যটন দপ্তরের লজে আগুন লাগিয়ে দেয় মোর্চা সমর্থকরা। আগুন লাগানো হয় লোধামা ফরেস্টের অতিথিশালাতেও। কার্শিয়াংয়ে দার্জিলিং হিমালয়ান রেঞ্জের হেড অফিসও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কার্শিয়াংয়ে মৎস্য দপ্তরের ডিরেক্টরের অফিসেও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়। আগুন লাগানো হয় সুখিয়ার পুলিশ ফাঁড়িতেও। তবে পুলিশি তৎপরতায় খুব শিগগিরিই সে আগুন নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।
[বাংলাদেশের অশান্তির ছবি বসিরহাটের বলে চালানোর চেষ্টা, ধৃত ১]
শুক্রবার সন্ধে ছ’টার মধ্যে পাহাড়ের উন্নয়ন বোর্ডের সমস্ত চেয়ারম্যানদের পদত্যাগ করতে হবে। এমনই হুমকি দিয়েছিল মোর্চা। ইতিমধ্যেই মোর্চার হুমকির জেরে ১৫টি উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে তিনটি বোর্ডের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন। বাকিদের সিদ্ধান্ত এখনও জানা যায়নি। তবে সন্ধে ছ’টার ডেডলাইন পার হওয়ার পর নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন অনেকে। সেই কারণেই পাহাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালেই দার্জিলিং স্টেশন ও সিংমারি থেকে দু’টি মিছিল জেলাশাসকের দপ্তরের কাছে পৌঁছয়। সিংমারি থেকে মিছিলটি যায় তার নেতৃত্বে ছিল মোর্চার নারীবাহিনী। প্রত্যেকের হাতে খুকরি ছিল। তবে সেনা মোতায়েন থাকায় সেখানে তেমন কোনও গণ্ডগোল করতে পারেনি মোর্চা সমর্থকরা। অল্প সময়েই সেখান থেকে চলে যায় সবাই। তবে সরকারি অফিসের সামনে বিক্ষোভ চলবে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ২১ জুলাই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
[পাহাড়ে আরও ৪ কোম্পানি আধাসেনা পাঠানোর নির্দেশ হাই কোর্টের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.