ব্রতীন দাস: ফের পাহাড়ে সরকারি ভবনে আগুন। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল সুকনার রেভিনিউ ইনস্পেক্টরের দপ্তর। পাশাপাশি, ম্যালে জিটিএ টুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার ও তামাং বোর্ডের চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে বাড়ির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবকটি ঘটনায় অভিযোগের তির গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দিকে।
[পুলিশের গুলিতে মৃত্যু গোর্খাল্যান্ড সমর্থকের, ফের অগ্নিগর্ভ পাহাড়]
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে প্রায় একমাস ধরে উত্তাল পাহাড়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তাণ্ডবে পুড়ছে একের পর এক সরকারি ভবন। লাগাতার বনধে বিপর্যস্ত জনজীবন। সাধারণ মানুষের রুটি-রুজিতে টান পড়েছে। তৈরি হয়েছে খাদ্য সংকট। গত মঙ্গলবারই পাহাড়ে পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কলকাতা হাই কোর্ট। হিংসার রাস্তা ছেড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু, এরইমধ্যে ফের পাহাড়ে সরকারি ভবনে আগুন জ্বলল। পুড়িয়ে দেওয়া হল তামাং বোর্ডের চেয়ারম্যান সঞ্জয় মোক্তানের বাড়ি।
[ফের অশান্ত পাহাড়, মোর্চার জঙ্গি আন্দোলনে আক্রান্ত পুলিশ ও সেনা]
জানা গিয়েছে, বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ সুকনায় রেভিনিউ ইনস্পেক্টরের দপ্তরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনের সরকারি ভবনটি পুরোপুরি ভষ্মীভুত হয়ে গিয়েছে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সরকারি নথি। তবে শুধু সুকনাতেই নয়, ম্যালে জিটিএ টুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নি সংযোগ করা হয় তামাং উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সঞ্জয় মোক্তানের বাড়িতেও। কেউ হতাহত না হলেও, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িটির একাংশ।
West Bengal: Revenue Inspector Office set on fire by unknown people in Sukna. pic.twitter.com/q7MoLlyu1A
— ANI (@ANI_news) 12 July 2017
এদিকে পাহাড়ে লাগাতার অশান্তির জেরে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চা বাগান মালিকদের কপালে। দার্জিলিং টি ইন্ড্রাস্ট্রির পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, চা পাতা তুলতে না পারায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে চা-বাগানগুলি। এখন সেকেন্ড ফ্লাশের চা তোলার সময়। যা বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। কিন্তু, পাহাড়ে লাগাতার অশান্তি ও বনধের জেরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বন্ধ চা পাতা তোলার কাজ। যার জেরে চা বাগানগুলির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ইতিমধ্যেই দেড়শো কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চা বাগান বন্ধ করে দিতে চাইছেন অনেক বাগান মালিকই। এর প্রভাব চা শ্রমিকের আর্থিক পরিস্থিতিতেও পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.