Advertisement
Advertisement

আলোচনা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি গুরুংয়ের, সুর নরম মোর্চা সুপ্রিমোর

মুখরক্ষায় গোর্খাল্যান্ডের দাবি।

Darjeeling unrest: Bimal Gurung softens stance, writes letter to Mamata Banerjee
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 24, 2017 10:46 am
  • Updated:October 3, 2019 6:24 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দার্জিলিঙের অচলাবস্থা কী এবার কাটতে চলেছে। তেমনই ইঙ্গিত দিল পাহাড়ের অন্যতম বড় দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বনধের ৬৭ দিনের মাথায় আলোচনা চেয়ে বিমল গুরুং চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। পাহাড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য রাজ্যের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মোর্চা সভাপতি। তবে গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে গুরুং অবশ্য সরেননি। মোর্চার দলীয় নেতা, কর্মীদের থেকে মামলা প্রত্যাহার-সহ একাধিক বিষয় চিঠিতে লিখেছেন গুরুং।

[সুখিয়াপোখরি থানার সামনে বিস্ফোরণ, পাহাড়ে ফের আতঙ্ক]

Advertisement

হুঁশিয়ারি, আন্দোলন ছেড়ে পাহাড় নিয়ে এবার আলোচনায় বসতে একপ্রকার বাধ্য হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মুখরক্ষায় অবশ্য গোর্খাল্যান্ডের কথা বলা হলেও, মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো ৬ পাতার চিঠিতে স্পষ্ট রাজ্য সরকারের সঙ্গে আবেদন-নিবেদনে মোর্চা এবার এগোতে চায়। প্রায় আড়াই মাস বনধ চালিয়ে যাওয়ার পরও গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে নিয়ে কার্যত দিশাহীন অবস্থা মোর্চা নেতৃত্বর। পাশাপাশি পাহাড়ে বিস্ফোরণে ইউএপিএ মামলা এবং গ্রেপ্তারির ফাঁসে মোর্চার প্রথম সারির নেতারা। মোর্চা প্যাঁচে পড়েছে বুঝতে পেরে রাজ্যের সঙ্গে আগামী ২৯ আগস্ট আলোচনায় বসতে চলেছে পাহাড়ের আর এক দল জিএনএলফ। বিনয় তামাংয়ের গোর্খা লিগও রাজ্যের সঙ্গে কথা বলার পক্ষপাতী। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে ক্রমশ একা হয়ে পড়ছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। আলোচনায় বসা ছাড়া তাদের কাছে আর কোনও পথ খোলা ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিতে হুমকি নয়, ছত্রে ছত্রে রয়েছে আবেদনের সুর। বিমল গুরুং মোর্চা নেতা, কর্মীদের ওপর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার আরজি জানিয়েছেন। পাশাপাশি পাহাড়ে পরপর বিস্ফোরণ নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। পাহাড়ে ইন্টারনেট এবং কেবল পরিষেবা স্বাভাবিক করার আবেদন জানিয়েছেন গুরুং। পুলিশের গুলিতে যাদের মৃত্যু হয়েছে সেই সমস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা চিঠিতে লেখেন মোর্চা সুপ্রিমো।

[গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে ‘ফাটল’, রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে জিএনএলএফ]

যারা এতদিন রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার কথা মুখে আনেনি, তারা কেন হঠাৎ বৈঠকে বসতে চাইছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন এছাড়া কোনও উপায় ছিল না গুরুংয়ের। কারণ পুলিশি ধরপাকড়ের কারণে তিনি নিজেই ফ্যাসাদে পড়েছেন। জিএনএলএফ রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করলে আরও সমস্যায় পড়ত মোর্চা। তারা যে শান্তি চায় না এই প্রচার শুরু করে দিতে পাহাড়ের অন্য দলগুলি। তাহলে কি আগামী ২৯ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে কী থাকছে মোর্চা। এর জবাবে গুরুংয়ের দলের নেতা স্বরাজ থাপা জানান, এই ব্যাপারে মোর্চা নেতাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। এখনও এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি মোর্চা।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement