অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: স্কুলে পড়াশোনা করতে গিয়েছিল দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) ছাত্র। কিন্তু স্কুলের ফেস্টিভ্যালের সময় দেওয়া কাজ না করতে পারায় যে এমন ভয়াবহ পরিণতি হবে, তা কেউ দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। অথচ বাস্তবে হল তেমনই। স্কুল কর্তৃপক্ষের দেওয়া র্যাফল টিকিট অর্থাৎ লটারির টিকিট সম্পূর্ণ বিক্রি করতে না পারায় খোদ প্রধান শিক্ষকই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করেন বলে অভিযোগ। এরপরই অপমানে আত্মঘাতী (Suicide) হয় নবম শ্রেণির ছাত্র। অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার জেরে স্কুলের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।
দার্জিলিংয়ের সরকারি স্কুল চৈতন্য পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রের পরিবার দরিদ্র। বাবা দর্পণ রাই শ্রমিক। প্রায় দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার। স্কুলের অনুষ্ঠানে চার পাতা র্যাফল টিকিট বিক্রি করতে দেওয়া হয়েছিল প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে। সেটা আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে। জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণির ছাত্রটি দু’পাতা টিকিট বিক্রি করতে সক্ষম হয়। বাকি দু’পাতা সে ফেরত দিতে গিয়েছিল প্রধান শিক্ষক (Head Master) গগেন্দ্র গুরুংয়ের কাছে। অভিযোগ, ওই দু’পাতা টিকিট বিক্রি করতে না পারায় প্রধান শিক্ষক নাকি তাঁকে অপমান করেন।
এরপর বাড়ি ফিরে নবম শ্রেণির ছাত্র স্কুলড্রেস পরেই নিজের ঘরে গিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে অভিযোগ মা-বাবার। অনেকক্ষণ ছেলের খোঁজ না পেয়ে ঘরে গিয়ে তাঁরা ঝুলন্ত অবস্থায় ছেলেকে খুঁজে পান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দার্জিলিং সদর থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। অভিভাবককদের অভিযোগের ভিত্তিতে চৈতন্য পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক গগেন্দ্র গুরুংকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানান, মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। জেলাশাসক এস পুণ্যবলম বলেন, ”সমস্ত ঘটনা জেনেছি। যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.