ব্রতীন দাস: ক্রমাগত বৃষ্টি, ঘন কুয়াশার মধ্যে আন্দোলনের আঁচ যেন একটু কমে এসেছিল। প্রতিবাদ থাকলেও ছিল না মোর্চার আক্রমণের সেই ঝাঁঝ। কিন্তু শনিবার নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠল পাহাড়। সৌজন্যে পুলিশের গুলিতে এক গোর্খাল্যান্ড সমর্থকের মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটে দার্জিলিং থেকে কিছুটা দূরে সোনাদা এলাকায়। মৃতের নাম তাশি ভুটিয়া (৩০)। ঘটনার জেরে সোনাদায় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় গোর্খ্যাল্যান্ডের সমর্থকরা। চালানো হয় ব্যাপক ভাঙচুর। এলাকার ট্রাফিক পুলিশের বুথে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয় বলে খবর।
[চলবে বৃষ্টির দাপট, জানাল আবহাওয়া দপ্তর]
মৃত তাশি ভুটিয়াকে নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করেছেন জিএনএলএফ। কিন্তু মোর্চার তরফ থেকে এমন কোনও কথা স্বীকার করা হয়নি। এদিকে জিএনএলএফ-এর মুখপাত্র নীরজ জিম্বার অভিযোগ, রাজ্য পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাশি ভুটিয়ার। সোনাদায় ১৪৪ ধারা জারি নেই। তাই শুক্রবার রাত এগারোটা নাগাদ সেখানে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন তাশি। সেখানেই বিনা প্ররোচনায় গোর্খাল্যান্ড সমর্থককে হত্যা করেছেন পুলিশকর্মীরা। গুলি চালানোর কথা অবশ্য স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে পুলিশকর্মীদের দাবি, খুপরি নিয়ে টহলরত পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল তাশি। তার খুপরির ঘায়ে এক পুলিশকর্মী জখমও হন। তখনই বাধ্য হয়ে পুলিশকে গুলি ছুড়তে হয়।
[একরত্তি শিশুর রক্তকান্নায় চক্ষু চড়কগাছ ডাক্তারদের]
কিন্তু পুলিশের এ দাবি মানতে নারাজ মোর্চা। তাদের পালটা দাবি, পুলিশের গুলিতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আর কোনও মৃতদেহের হদিশ মেলেনি। মোর্চার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁর কথায়, পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে রাজ্য পুলিশ।তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, তাশির মৃত্যুর ঘটনাকে হাতিয়ার করেই নতুন করে লড়াইয়ের ঘুঁটি সাজাচ্ছে মোর্চা ও তার সহযোগী দলগুলি। একে কেন্দ্র করেই ফের হিংসার পথে নামছে গোর্খাল্যান্ডের সমর্থকরা।
[প্রথম কোন ভাষায় ‘বন্দে মাতরম’ লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র, প্রশ্ন হাই কোর্টের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.