সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরই দাবিটা উঠতে শুরু করেছিল। পাহাড়ের দলগুলি একযোগে দার্জিলিংকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার দাবি জানিয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই দাবি আরও জোরাল হল দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু সিং বিস্তের সমর্থনে। সূত্রের খবর, পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি লিখেছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ।রাজু সিং বিস্তের চিঠির জবাবে প্রাপ্তি স্বীকার করে পালটা চিঠি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই চিঠিতে ‘গোর্খাল্যান্ড’ শব্দটিরও উল্লেখ রয়েছে বলে খবর।শুধু তাই নয়, চিঠিতে অমিত শাহ বিস্তের প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।
কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপের পরই সোমবার পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি একযোগে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব হয়। বিমল গুরুং, বিনয় তামাং থেকে শুরু করে নীরজ জিম্বা পর্যন্ত প্রত্যেকেরই দাবি ছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের ধাঁচে দার্জিলিংকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দিতে হবে। বিজেপি সাংসদ রাজু সিং বিস্ত পরোক্ষে সেই প্রস্তাবকে সমর্থনও করেছিলেন। তিনি তখন বলেন, ভোটের আগের দেওয়া প্রতিশ্রুতিমতো ২০২৪ সালের আগে পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। সূত্রের খবর, এরপরই দার্জিলিংয়ের সাংসদ চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে৷দিল্লি পুলিশের অধীনে গোর্খা
স্বগত ১২ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ওই চিঠি দেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। তাঁর দাবি, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য দিল্লি পুলিসের যে বিশেষ বাহিনী গঠন করা হয়েছে তাতে যেন জায়গা দেওয়া হয় ‘গোর্খাল্যান্ড’ ও লাদাখের যুবকদের। চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে গত ২৩ জুলাই পালটা চিঠি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাতেও রয়েছে ‘গোর্খাল্যান্ড’ শব্দটির উল্লেখ। এতেই দানা বাঁধে বিতর্ক।বিস্তের চিঠি পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তাঁর প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন। অমিত শাহ পালটা যে চিঠি দিয়েছেন তাতেও গোর্খাল্যান্ড শব্দটির উল্লেখ রয়েছে। যা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্য বিজেপির। অনেকেই মনে করছেন, বিজেপি সাংসদের গোর্খাল্যান্ডপন্থী অবস্থানের উলটো প্রভাব পড়তে পারে বঙ্গবাসীর মনে। তাই অস্বস্তি ঢাকতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলছেন, “কেউ গোর্খাল্যান্ড চাইনি। আমরা শুধু পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাইছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.