Advertisement
Advertisement
NRC

বাংলাতেও NRC প্রয়োজন বলে সরব বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা

পালটা কটাক্ষ করে তাঁকে বিঁধেছেন মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং।

Darjeeling BJP MP Raju Singh Bista demands NRC in Bengal
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:September 6, 2019 8:50 am
  • Updated:September 6, 2019 8:50 am  

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: এনআরসিতে অসমে যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের বেশিরভাগই পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য সমস্যায় পড়তে হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফের নথি জমা করলে তাঁদের নাম নিশ্চয়ই জাতীয় নাগরিকত্বের তালিকায় উঠবে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিক্ষক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমনটাই দাবি করলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। পাশাপাশি বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের হাত শক্ত করছে তৃণমূল বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিন মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাংয়ের অসম যাওয়ার দাবি প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি রাজুবাবু। যদিও তাঁর বক্তব্য, প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তবে পালটা কটাক্ষ করে তাঁকে বিঁধেছেন মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং।

[আরও পড়ুন: এনআরসি গেরো! স্বদেশহারা হয়ে পরাধীনতার গ্লানি স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের]

এদিন শিলিগুড়িতে চার্চ রোডে পঞ্চায়েত ভবনে একটি শিক্ষক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিজেপির শিক্ষা সেলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি সাংসদ জয়ন্ত রায়, রাজ্য সম্পাদক রথীন্দ্র বসুও। সেখানে বক্তব্য পেশ করতে উঠে রাজুবাবু এদিন আগাগোড়া আক্রমণাত্মকভাবে তৃণমূল ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, দু’টি দলকেই কড়া ভাষায় বিঁধেছেন। বিনয় তামাংকে তৃণমূলের চামচা বলতেও ছাড়েননি তিনি। অন্যদিকে তিনি বলেন, “এ রাজ্যে এনআরসি দরকার। এনআরসি হলে কেউ বাস্তুচ্যুত হবে না। পাশাপাশি গোর্খা রাজবংশী, আদিবাসী সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ নিজের জমির অধিকার পাবেন। যাঁরা এত বছর থেকেও নিজের জমির অধিকারটুকু পাননি। তাঁরা সুনিশ্চিত হবেন। প্রকৃত ভূমিপূত্ররা কখনওই বঞ্চিত হবেন না।”

যদিও রাজুবাবুর আগের বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে বিনয় তামাং বলেন, “তাও ভাল রাজুবাবু নিজের বক্তব্য নিজেই খণ্ডন করছেন। কয়েকদিন আগে তিনি বলেছিলেন গোর্খাদের কারও নাম বাদ পড়েনি। এখন ৭৫ হাজারের হিসেব দিচ্ছেন। উনি আগে একটা নির্দিষ্ট মন্তব্যে থিতু হোন।” অন্য প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “কাশ্মীরে আর অসমে কোনও পার্থক্য নেই। শুধু কাশ্মীরে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। অসমে সেটা নেই। এটুকু পার্থক্য। আর কিছু নয়।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement