Advertisement
Advertisement

প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হলেও দাড়িভিট হাই স্কুল খোলা নিয়ে জারি অচলাবস্থা

যতবারই স্কুল খোলার চেষ্টা করেছে প্রশাসন, ততবারই বাধা দিয়েছেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।

Darivit school stalemate continues The death of two students in Darivit
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 3, 2018 5:44 pm
  • Updated:November 3, 2018 5:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারির পরও অব্যাহত জটিলতা৷ স্কুল খোলার বিষয়ে প্রশাসনের তরফে তৎপরতা শুরু হলেও ব্যর্থ হয় সমস্ত চেষ্টা৷ আজ, শনিবার দুপুরে দাড়িভিটে যায় মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল৷ কথা বলেন অভিভাবকদের সঙ্গে৷ কিন্তু, মৃত ছাত্রের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত শুরু না হওয়া পর্যন্ত স্কুল চালু করতে অনড় অভিভাবকদের একাংশের৷ মৃত দুই ছাত্রের পরিবারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, গুলি চালনার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনওভাবেই খোলা যাবে না স্কুল৷ জোর করে স্কুল খোলার চেষ্টা করা হলে পরিণাম ভাল হবে না বলেও এদিন প্রতিনিধি দলকে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়৷

[সম্পর্কের অবনতি, ফেসবুকে পোস্ট করে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া]

তবে, হুঁশিয়ারি শোনা সত্ত্বেও এদিন ঠান্ডা মাথায় অভিভাবকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রশাসনের কর্তারা৷ পঠন-পাঠন চালু করা না গেলে আখেরে পড়ুয়ারাই সমস্যায় পড়বে বলেও অভিভাবকদের বোঝানো হয়৷ কিন্তু, শত চেষ্টার পরও অভিভাবকদের বোঝাতে ব্যর্থ হন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷ খালি হাতেই ফিরতে বাধ্য হন তাঁরা৷ আগামী ১০ নভেম্বর স্কুল খুলতে হবে বলে নির্দেশ জারি করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ দাড়িভিট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে দু’জনকেই সাসপেন্ড করার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী৷ স্কুলের মেয়াদ উত্তীর্ণ পরিচালন সমিতিও ভেঙে দেন শিক্ষামন্ত্রী৷ স্কুলের প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে মহকুমা শাসককে৷ অশান্তি কাটিয়ে পুজোর ছুটির পর স্কুলে নতুন করে পঠন-পাঠন চালু করার লক্ষ্যে আজ, ঘটনাস্থলে যান প্রশাসনের কর্তারা৷ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন৷ এর আগেও একাধিকবার অভিভাবকদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক ব্যর্থ হলেও আজ, ফের বাড়ি বাড়ি বোঝানোর চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু, প্রশাসনের এই উদ্যোগে জল ঢেলে নিজের অবস্থান থেকে অনড় থাকেন বাসিন্দারা৷

Advertisement

[ইসলামপুরে উর্দু শিক্ষকের আকাল, নিয়োগে সাবধানী রাজ্য]

গত ২০ সেপ্টেম্বর উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাই স্কুল। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুই ছাত্রের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গুলি চালিয়েছিল পুলিশই। সেই ঘটনার পর একমাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও পঠনপাঠন বন্ধ দাড়িভিট হাই স্কুলে। সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় নিহতদের পরিজনেরা। যতবারই স্কুল খোলার চেষ্টা করেছে প্রশাসন, ততবারই বাধা দিয়েছেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।

[বেহাল রাস্তার জেরে কিশোরের মৃত্যু, ভাঙচুর-অবরোধে রণক্ষেত্র পালিতপুর]

স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুল খোলা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন ইসলামপুরের বিডিও ও উত্তর দিনাজপুর জেলা স্কুল পরিদর্শক। মঙ্গলবারও ফের একবার দাড়িভিট স্কুলের মাঠে বৈঠকে বসতে চেয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু সেই বৈঠকও ভেস্তে গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে ঘটনার সিবিআই তদন্ত ও আটজন গ্রামবাসীর নিঃশর্তে মুক্তি দাবি জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement