প্রতীকী ছবি
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ খ্যাত নাবালিকার মৃতদেহ। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর চাঁদপাড়া এলাকায়। স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাঁকে মানসিক চাপ দিচ্ছিলেন? তাকে উত্যক্ত করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তার জেরে এই ঘটনা। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি পরিবার ও স্থানীয়দের। গাইঘাটা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
২০১৬ সালে ডান্স বাংলা ডান্স রিয়েলিটি শোতে প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়ে গ্র্যান্ড ফাইনাল অবধি পৌঁছেছিল বনগাঁর ওই নাবালিকা। তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানের দৌলতে তার নামডাকও বেশ ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তারপরেও কেন এমন ঘটনা, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেখান থেকেই ঘটনার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এলাকার তিন যুবকের।
বাবা অমল দাস, মা মৃদুলা দাস ও স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, বুলটন, বিট্টু, সুমন্ত-সহ আরও বেশ কয়েকজন মানসিকভাবে নাবালিকার উপর চাপ করছিলেন। তাঁরা বয়সে নাবালিকার থেকে বড় হলেও যুবকদের সঙ্গে মিশতে জোর করা হত। একাধিক জায়গায় তাঁদের সঙ্গে যেতে হবে বলে চাপ দিতেন যুবকরা। নানাভাবে ভয় দেখানো হত বলেও অভিযোগ সামনে আসছে। দাবি মতো কথা না শোনা হলে ফোনে হুমকি দেওয়া হত বলে দাবি বাবা-মায়ের। তিন যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে গাইঘাটা থানায়।
জানা গিয়েছে, গতকালও তাকে ওই যুবকদের সঙ্গে বেরতে হয়েছিল। পরে সে বাড়ি ফিরে আসে। এর মধ্যেই নাবালিকার বাবার মোবাইলে ফোন গিয়েছিল। বলা হয়, মেয়ে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি বাড়িতে এসে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন অমল দাস। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। অদ্রিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকার শোকের ছায়া নামে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই যুবকরা এলাকার অনেক মেয়েকেই ‘টার্গেট’ করেন। তাঁদের সঙ্গে মেলামেশা করতে বাধ্য করা হয়। এর আগেও এলাকার একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কারা এই যুবক? কতটা সাহস পেলে এমন কাজ তাঁরা করতে পারেন? তাঁদের মাথার উপর কি কারও হাত আছে? একাধিক প্রশ্ন এই ঘটনার পর উঠছে। গাইঘাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। কেন এমনভাবে মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছিল, তাও খতিয়ে দেখা হবে। অভিযুক্তদের খোজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.