ব্রতীন দাস ও সঞ্জীব মণ্ডল: শৈলশহরে বেড়াতে এসে ইচ্ছেমতো ‘খেলনা গাড়ি’ চড়ার দিন শেষ। এবার মহার্ঘ হেরিটেজ টয়ট্রেন সফর! এ মাসের প্রথম থেকেই টয়ট্রেনের প্রথম শ্রেণির ভাড়া বাড়ানো হল প্রায় চারগুণ। সেইসঙ্গে এনজেপি থেকে দার্জিলিং টয়ট্রেন যাত্রায় তুলে দেওয়া হল দ্বিতীয় শ্রেণির কামরা৷ লোকসানের বহর কমাতেই টয়ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষের৷ তবে বিষয়টি মোটে ভালভাবে নেননি রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, এতে ধাক্কা খাবে পর্যটন। বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে প্রতিবাদ হবে বলেও জানান তিনি।
দার্জিলিং থেকে ঘুম। পাহাড়ি পথে টয়ট্রেনের ন’টি জয়রাইড হয়৷ এরমধ্যে তিনটি টয়ট্রেন চলে ডিজেলে। ছ’টি বাষ্পচালিত ইঞ্জিন৷ এছাড়া দু’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের একটি এনজেপি থেকে দার্জিলিং এবং একটি কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত চলে৷ দার্জিলিং-কার্শিয়াংয়ের মধ্যে রেডপাণ্ডা নামে একটি স্পেশাল টয়ট্রেন রয়েছে৷ শিলিগুড়ি-রংটং মহানন্দা জঙ্গলের ভিতর দিয়ে চলে টয়ট্রেনের জঙ্গল সাফারি৷
জেলে বসছে সেলাই মেশিন, পোশাক বানাবে বন্দিরা
১ ফেব্রুয়ারি থেকে টয়ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে৷ এনজেপি থেকে দার্জিলিং টয়ট্রেন সফরে আগে প্রথম শ্রেণির কোচে ভাড়া ছিল ৩৬০ টাকা৷ তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২৮৫ টাকা৷ দার্জিলিং-কার্শিয়াং প্রথম শ্রেণির কোচের ভাড়া ২১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৮০ টাকা৷ দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া ৬০ টাকা৷ তা অপরিবর্তিত রাখা হলেও দ্বিতীয় শ্রেণির কোচ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ এনজেপি থেকে দার্জিলিং দ্বিতীয় শ্রেণির কোচ দেওয়া হচ্ছে না৷
বাষ্পচালিত ইঞ্জিনে দার্জিলিং-ঘুম জয়রাইডের ভাড়া আগে ছিল ১১০০ টাকা৷ এখন তা বেড়ে ১৩০০ টাকা৷ ডিজেল ইঞ্জিনে দার্জিলিং-ঘুম টয়ট্রেনের জয়রাইডের ভাড়া আগের ছিল ৬৩০ টাকা৷ তা বেড়ে হল ৮০০ টাকা৷ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের এরিয়া অফিসার নরেন্দ্র মোহনের কথায়, ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শেষবার ভাড়া বেড়েছিল। তাও প্রথম শ্রেণির নয়। শুধুমাত্র দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া বেড়েছিল৷ লোকসানের বহর কমাতেই এই ভাড়া বৃদ্ধি বলে দাবি তাঁর৷ তিনি বলেন, এনজেপি-দার্জিলিং টয়ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণি তুলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার চলছে৷ কিন্তু তা ঠিক নয়৷ কেননা, ওই টয়ট্রেনে দ্বিতীয় শ্রেণির কামরা ছিল না৷ যা ছিল সবই প্রথম শ্রেণির৷
পাহাড়-সমতলের পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পাহাড়ে পর্যটকদের কাছে টয়ট্রেন অন্যতম আকর্ষণ। জয়রাইডেই বেশি ভ্রমণ করেন পর্যটকরা৷ জয়রাইডে মাত্র ১৬ কিলোমিটার পাহাড়ি পথের জন্য এই ভাড়া মাত্রাতিরিক্ত বলে দাবি তাঁদের। এটা নিশ্চিতভাবে পর্যটন ব্যবসায় ধাক্কার কারণ হবে৷ যদিও রেলের বক্তব্য, ভাড়া বাড়লেও যাত্রী সংখ্যায় প্রভাব পড়বে না টয়ট্রেনে৷ গত বছর এনজেপি-দার্জিলিং রুটের টয়ট্রেনে যাত্রী এক লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে৷
২২০০ মহিলার জরায়ু কেটে বাদ দিয়ে বিক্ষোভের মুখে চিকিৎসকরা
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.