নব্যেন্দু হাজরা: ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। ক্রমশই শক্তি বাড়ছে তার। দক্ষিণ বঙ্গোপাসাগরীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালানোর আশঙ্কা। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলীয় অঞ্চলে জারি হলুদ সতর্কতা।
শক্তি ক্রমশই বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ। গত ৬ ঘণ্টায় আরও শক্তি সঞ্চয় করে তা দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তর ও উত্তরপূর্বমুখী হয়েছে। আগামী ৬ঘণ্টায় গতিবেগ বাড়িয়ে তা মধ্যাঞ্চলে অবস্থান করবে বলে গতিপথ দেখে অনুমান আবহবিদদের। সোমবার প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান হতে চলেছে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, দিঘা থেকে ৯৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে। আগামী ২০ তারিখ বিকেল বা সন্ধের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আমফান দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়া উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। তখন এর গতিবেগ থাকতে পারে ১৫৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। অর্থাৎ তখন তা অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে (Severe Cyclonic Storm) পরিণত হবে।
এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকেই আমফানের প্রভাব এ রাজ্যে টের পাওয়া যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহবিদরা। তাতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। আমফানের তাণ্ডবের আশঙ্কায় কাঁপছে বঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চল। দিঘায় ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমুদ্রের আশেপাশে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এদিকে, সুন্দরবন অঞ্চলেও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চলছে প্রস্তুতি। রবিবার এ নিয়ে একটি বৈঠক করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। তিনি জানিয়েছেন, আয়লা বা বুলবুলের মতো আমফান যাতে সুন্দরবনের ক্ষতি করতে না পারে, তার আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় জারি হয়েছে সতর্কতা। তবে শেষ পর্যন্ত স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর আমফান সত্যিই কতটা তাণ্ডব দেখাতে পারে, সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.