Advertisement
Advertisement
Cyclone Yaas

আরও কাছে ‘যশ’, দিঘার সমুদ্রে শুরু জলোচ্ছ্বাস, সঙ্গে প্রবল হাওয়া

অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আগে লাল সতর্কতা জারি বেশ কয়েকটি জেলায়।

Cyclone Yaas: High tide at Digha, rain and strong wind | Sangbad Pratidin

ছবি; প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 25, 2021 9:02 am
  • Updated:May 25, 2021 10:24 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার দিকে এগোচ্ছে নিম্নচাপ। আবহাওয়াবিদদের হিসেব কাঁটায় কাঁটায় মিলে গেলে বুধবার ভোরেই ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটারের বেশি গতিবেগ নিয়ে দিঘা-বালাশোরের মধ্যে আছড়ে পড়বে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বা ‘ইয়াস’ (Yaas)। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে দিঘা (Digha) থেকে ৪৫০ কিলোমিটার এবং ওড়িশার বালাশোর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে নিম্নচাপ। দুপুরের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। সন্ধের পরই তা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বা Very severe cyclone-এ পরিণত হবে। ইতিমধ্যে যদিও তার প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে দিঘায়। উপকূলে চলছে জলোচ্ছ্বাস।

মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সামান্য রোদের ঝিলিক দেখা গেলেও ঝড়ের পূর্বাভাস টের পাওয়া গিয়েছে স্পষ্ট। প্রবল বেগে হাওয়া দিচ্ছে। যদিও ‘যশ’-এর প্রভাব কলকাতায় খুব বেশি পড়বে না বলেই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। দিঘা বরাবর উপকূলবর্তী পাশের এলাকাগুলিতে তাণ্ডবলীলা চালাতে পারে ‘যশ’। সমতলে আছড়ে পড়ার পর এর গতিপথ হতে চলেছে ঝাড়খণ্ডের দিকে। তবে তার আগেই উপকূলীয় জেলাগুলিতে প্রভাব রেখে যাবে ঘূর্ণিঝড়টি। এর আগে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানেও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই এবার দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম অনেকটা প্রস্তুতি সেরে রেখেছে জেলা প্রশাসন। ‘যশ’-এর প্রভাবে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে এই জেলাগুলিতে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ‘যশ’, তবে আয়লা-আমফানের মতো বাংলায় তাণ্ডবের সম্ভাবনা কম]

একযোগে দুর্যোগ মোকাবিলায় নেমেছে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর। নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে চলছে কাজ। ঝড়ের আগে নদী তীরবর্তী এলাকার ছোট বাঁধের ক্ষতয় বাড়তি নজর দেওয়ার কথা বললেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন নিজের এলাকা সবংয়ে। সেখান থেকেই তাঁর নির্দেশ, চাষের কাজে ব্যবহৃত সামগ্রীর কোনও ক্ষতি আগে হয়ে থাকলে তা জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করে ফেলতে হবে। তার সঙ্গে পরিষ্কার করতে হবে ছোট ক্যানেলও। ঝড়ে চাষবাসে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। সরাসরি চাষাবাদের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও চাষের জমিতে জল সেচের কাজটা করে জলসম্পদ দপ্তর। তার জন্য ক্যানেল তৈরি করা, তাকে জল সেচের উপযোগী করে তোলা, তার জায়গায় জায়গায় ছোট বাঁধ বানানো এর সবটাই চলে এই দপ্তরের মাধ্যমে। সম্প্রতি এই কাজের দায়িত্ব নিয়ে প্রাথমিক ছবিটা বুঝে নিয়েছেন মানসবাবু। এই মুহূর্তে স্রেফ জরুরি পরিষেবাটুকুই চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ, উঃ ২৪ পরগনায় একদিনে মৃত ৪৭]

এদিকে, আজ থেকে দুর্যোগ পরিস্থিতির জন্য উপান্নে তৈরি হওয়া বিশেষ কন্ট্রোলরুমে রাতভর থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। বুধবার রাতেও তিনি নিজে সমস্ত নজরদারি চালাবেন। লক্ষ্য একটাই, ঘূর্ণিঝড় যতই শক্তিশালী হোক, ক্ষতি কিছুতেই বাড়তে দেওয়া যাবে না।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement