ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরম দাবদাহে নাজেহাল রাজ্যবাসী৷ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তেজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে বাতাসের আর্দ্রতা৷ ফলে চরমে পৌঁছে গিয়েছে অস্বস্তি৷ কিন্তু এসবের মধ্যেই আরও বড় আশঙ্কার খবর নিয়ে এসেছে আবহাওয়া দপ্তর৷ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের মধ্যে শহরে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী৷ তবে শক্তিক্ষয় করে কালবৈশাখীর রূপে৷
[আরও পড়ুন: মোহনবাগানের আদলে উপনয়নের অনুষ্ঠান, চমক সবুজ-মেরুন সমর্থক পরিবারের]
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শহরে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী৷ ঘণ্টায় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ৫০-৬০ কিলোমিটার৷ তাণ্ডবলীলা চালানোর শক্তি না থাকলেও এই ঝড়ের ফলে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বলে সূত্রের খবর৷ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, বুধবার রাতেও কলকাতা ও তৎসংলগ্ন জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে৷ জানা গিয়েছে, ক্ষমতা বাড়িয়ে আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে ফণী। বুধবার তামিলনাড়ু উপকূলে পৌঁছবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর ধীরে ধীরে সেটি অন্ধ্র উপকূলের দিকে যাবে৷ এবং শেষে ওড়িশা উপকূল হয়ে আছড়ে পড়তে পারে রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলিতে৷ তবে তখন শক্তি অনেকটা কম থাকবে বলেই মত আবহাওয়াবিদদের৷ ফণীর জেরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে অন্ধ্র. তামিলনাড়ু ও ওড়িশা উপকূলে৷ মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷
[আরও পড়ুন: মোদিকে ঠেকাতে পুরুলিয়ায় তৃণমূলের অস্ত্র নয়া ‘বর্ণপরিচয়’ ]
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের সাতটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর৷ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও দুই বর্ধমানে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ফণীর জেরে বাংলায় আপাতত কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা৷ ফলে চড়চড়িয়ে বাড়ছে বাংলার তাপমাত্রা৷ এপ্রিলের শেষেই পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে৷ বইছে লু৷ বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় বজায় থাকবে ভ্যাপসা গরম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.