নিরুফা খাতুন: ২০২০ সালে আমফান। ২০২৩-এ কি ‘মোকা’? নতুন করে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। সবই নির্ভর করছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের হালহকিকতের উপর। শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার প্রভাবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ওই অঞ্চলে নিম্নচাপ তৈরি হবে।
দক্ষিণবঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। কোথাও কোথাও দমকা ঝোড়ো হওয়া বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে বুধবার বিকেল বা সন্ধের দিকে কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হতে পারে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। আবার কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে।
হাওয়া অফিসের অনুমান, পরবর্তী সময়ে ওই নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আশঙ্কা সত্যি করে শেষমেশ ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে, তার নামও তৈরি। ‘মোকা’। কোথায় আছড়ে পড়বে সে ঘূর্ণিঝড়? এখনই সে বিষয়ে নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদরা। তবে আগামী সাতদিনের মধ্যে পরিষ্কার হবে বিষয়টি। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ বাংলাদেশ অথবা মায়ানমার উপকূল। কিন্তু গতিপথ ঘুরলে তা আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের উপর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কতটা পড়বে, সে ব্যাপারেও এখনই বলা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে মে মাসে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। ২০২০ সালে আমফান ছাড়াও ২০২১ সালে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। ২০২২ সালের মে মাসে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। ওই বছরের অক্টোবর মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ ঘুরতে পারে ওড়িশার দিকেও। মঙ্গলবার সাইক্লোন নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে ওড়িশা প্রশাসন। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা জানিয়েছেন, এখনই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রসঙ্গ স্পষ্ট করা যাচ্ছে না। তবে ঘূর্ণিঝড় পড়শি রাজ্যে চলে গেলেও তার প্রভাবে বৃষ্টি হবে বাংলায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.