Advertisement
Advertisement

Breaking News

সন্ধের পরই আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল, নবান্নে খোলা হল কন্ট্রোল রুম

উপকূলের জেলাগুলিতে জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা।

Cyclone Bulbul to hit Bengal with heavy rains, winds
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:November 9, 2019 8:59 am
  • Updated:November 9, 2019 12:14 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। উপকূল থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে এটি। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে বুলবুল। পরিস্থিতি এখন এমন যে উপকূলবাসীর মনে ফিরে আসছে আয়লার স্মৃতি। এমনকী এও মনে করা হচ্ছে, আয়লার ভয়াবহতাকেও টপকে যেতে পারে বুলবুল। শনিবার মধ্যরাতে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কথা ছিল স্থলভাগে। কিন্তু সকালে বুলবুল যেভাবে শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে আসছে, তাতে মনে করা হচ্ছে শনিবার সন্ধের পরই স্থলভাগে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ওড়িশার কাছাকাছি পৌঁছে উত্তর-পূর্ব দিকে ঘুরে যাবে এটি। তারপর উপকূল সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অগ্রসর হওয়ার কথা রয়েছে বুলবুলের। পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাডা়র মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করার কথা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। তারপর এটি বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এমনকী গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার হওয়াও আশ্চর্য নয়। ক্রমশ শক্তি ও গতিবেগ বাড়ানোর ফলে শনিবার মধ্যরাতের বদলে শনিবার সন্ধের পরই স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বুলবুলের।

Advertisement

bulbul-1

[ আরও পড়ুন: গোদুগ্ধ নিয়ে দিলীপের মন্তব্যের জবাব, প্রকাশ্যে গরুর দুধ দুইয়ে বিক্রি কলেজ পড়ুয়াদের ]

বুলবুলের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে সতর্কতা। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। সেই কারণে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি হয়েছে। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দিঘা, মন্দারমণি, বকখালি, তাজপুর-সহ উপকূলবর্তী সমস্থ পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। পর্যটকদেরও সমুদ্রের আশপাশে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দিঘায় শুরু হয়ে গিয়েছে জলচ্ছ্বাস। ফুঁসছে সমুদ্র। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রবল জলচ্ছ্বাসের ফলে বাঁধ টপকে জল আসতে পারে। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে জারি হয়েছে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা। শনিবার সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে জেলাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আগামিকাল শনিবার দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, সুন্দরবন, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও কলকাতা-সহ বেশ কয়েকটি জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুমের নম্বর- ২২১৪৩৫২৬ ও ২২১৪৩৫৮৬। এছাড়াও চালু হয়েছে টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

bulbul-digha

[ আরও পড়ুন: শেষ মুহূ্র্তে ট্রেন ঘোষণা হওয়ায় হুড়োহুড়ি, ওভারব্রিজে পদপিষ্ট হয়ে জখম ১৫ ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement