Advertisement
Advertisement
সুন্দরবন

উড়ল ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফেন্সিং, আমফানের মাঝেই বাঘের হানার আতঙ্কে কাঁটা সুন্দরবন

ভেঙে গিয়েছে পাখিরালয়ের জেটিও।

Cyclone Amphan wrecks havoc for tiger reserve in Sunderbans
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 20, 2020 9:17 pm
  • Updated:May 20, 2020 9:17 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দোপাধ্যায়:  মঙ্গলবার সকাল থেকেই বৃষ্টি। বুধবার সকাল থেকেই কখনও মেঘলা আকাশ তো কখনও বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামকে গ্রাম তছনছ হতে শুরু করেছিল। তার সঙ্গেই স্থানীয় কন্ট্রোল রুম, ঘরের চাল সব উড়ে যেতে থাকে। সজনেখালি রেঞ্জ থেকে সরিয়ে দিতে হয় ট্রানক্যুলাইজার টিম। ছিঁড়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ অংশের ফেন্সিং। যার ফলে ঘর বাড়ি হারিয়ে তো বটেই, নতুন করে বাঘ ঢোকার আশঙ্কা তৈরি হল সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়।

নামখানা টাওয়ার, বকখালি রেঞ্জ অফিস, বসিরহাটের ঝিলা সর্বত্র চলেছে আমফান তাণ্ডব। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সল্টলেকের কন্ট্রোল রুমে বসে যতটুকু খবর পেয়েছেন তার ভিত্তিতে বলেন, “চারিদিকের অবস্থা খারাপ। কোনও জায়গার সঙ্গে টানা যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যতটুকু খবর এসেছে তাতে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।”

Advertisement

সদ্য বাঘের সংখ্যা বেড়েছে সুন্দরবনে। সে কথা মাথায় রেখে বিপর্যয়ের আগে বাড়তি সুরক্ষা নেওয়া হয়েছিল। যতটা সম্ভব বাড়তি বেড়া ও জাল লাগানো হয়েছিল। গ্রামের কাছে রাখা হয়েছিল বাড়তি ট্রানক্যুলাইজার টিম। বিশেষ করে পাখিরালয়ের কাছে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সবটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে খবর। ভেঙে গিয়েছে পাখিরালয়ের জেটিও। তার মধ্যে সর্বত্র লোডশেডিং হয়ে থাকার ফলে খবর আদানপ্রদান করাও যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

রাত পর্যন্ত কোনও মৃত্যু বা অন্য কোনও দুর্ঘটনার খবর কি মিলেছে? লোডশেডিং হয়ে যাওয়ায় রেডিও ট্রান্সমিটারের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতেও কোনও খবর পৌঁছনো সম্ভব হয়নি বলে জানাচ্ছেন মন্ত্রী। বলছেন, “কাউকে তাণ্ডব চলাকালীন অবস্থায় ধরে বেঁধে পাঠানো যায় না। যতজন কাজ করছিলেন সকলকে আগে জীবন বাঁচাতে বলেছি নিজেদের। পরিস্থিতি শান্ত হলে সবটা খতিয়ে দেখা হবে।”

[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় করোনায় প্রাণ হারাননি একজনও, রাজ্যে আক্রান্ত আরও ১৪২]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement