ছবি: মকুলেশুর রহমান
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ কিংবা লিংক আসছে মোবাইলে। জলপাইগুড়ির এক কলেজ ছাত্রীকে নাকি হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলও করা হয়েছিল। সবকটি নম্বরই আবার আমেরিকার। রাজ্যে মোমো আতঙ্কের তদন্তে নেমে একটি অ্যাপের সন্ধান পেয়েছে বর্ধমান জেলার পুলিশের সাইবার সেল। তদন্তকারীদের দাবি, ওই অ্যাপ থেকে আমেরিকায় ব্যবহৃত মোবাইলের নম্বর পাওয়া যায়। ওই অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করে আমেরিকার নম্বর থেকে মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপ করতে পারেন এদেশের বাসিন্দারাও। তাহলে কী ওই অ্যাপ ব্যবহার করেই রাজ্যে মোমো আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে? তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এদিকে ওই অ্যাপের সাহায্যে কীভাবে মোমো আতঙ্ক ছড়ানো যায়, তা হাতেকলমে করে দেখেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন পড়ুয়ারা। সাধারণ মানুষকে সচেতনতা করছেন তাঁরাও।
[ ছাত্রীর মোবাইলে মোমোর উঁকি, চাঞ্চল্য বাগনানের স্কুলে]
নীল তিমির পর এবার মোমো চ্যালেঞ্জ গেম। ভারচুয়াল দুনিয়ায় ফের মারণখেলার হানা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়ও বেশ কয়েকজন মোমো মেসেজ পেয়েছেন। মেসেজ পাওয়ার পর নম্বরটি ব্লক করে দিয়েছে কালনার স্কুল পড়ুয়া অর্চিষ্মান চৌধুরি। ভয়ে শিক্ষকের কাছে নিজের মোবাইল রেখে এসেছেন কাটোয়া কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জয়কৃষ্ণ পাল। পুলিশের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। মোমো মেসেজ পেয়েছেন জামুড়িয়ার এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীও। মোমো আতঙ্ক ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ও পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরেও। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই মারণগেমের খপ্পরে পড়ছেন স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারা। স্বাভাবিকভাবে উদ্বেগ বেড়েছে অভিভাবকদের। মোমো আতঙ্ক মোকাবিলা সোশ্যাল প্রচারে সচেতনতামূলক প্রচারে নেমেছে সিআইডি। মোমো নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডিআইজি (সিআইডি) নিশান্ত পারভেজ। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে আতঙ্ক ছড়াতেই পাঠানো হচ্ছে মোমো মেসেজ। অচেনা নম্বর থেকে এমন মেসেজ পাঠানো যায়। আর এবার আমেরিকার মোবাইল নম্বর সম্বলিত একটি অ্যাপের সন্ধান পেল বর্ধমান জেলা পুলিশে সাইবার সেল। তদন্তকারীদের দাবি, ওই অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করে আমেরিকার নম্বর থেকে মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপ করতে পারেন এদেশের বাসিন্দারাও। মোমো মেসেজের সঙ্গে অ্যাপটির কোনও সম্পর্ক আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কিন্তু, অ্যাপের সাহায্যে সত্যিই কি বিদেশি নম্বর থেকে মোমো মেসেজ পাঠানো সম্ভব? হাতেকলমে করে দেখিয়েছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তিন পড়ুয়া। বাস্তবেও যে এমনটা করা সম্ভব হয়, সেকথা জানিয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপিকা সুদত্তা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
[ সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল যুবক, দিঘায় চাঞ্চল্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.