Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভাতার

পঞ্চায়েত অফিসে কাটমানি পোস্টার উপপ্রধানের বিরুদ্ধে, হৃদরোগে আক্রান্ত অভিযুক্ত নেতা

বর্তমানে তিনি বর্ধমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Cut money poster sparks controversy at Bhatar Gram Panchayet
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:July 17, 2019 7:02 pm
  • Updated:July 18, 2019 4:35 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা শাসকদলের ব্লক সভাপতির নামে কাটমানি ফেরতের দাবিতে পোস্টার পড়ল পঞ্চায়েত অফিসে। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের বড়বেলুন-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে বুধবার সকালে এই পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়রা। একই সঙ্গে বড়বেলুন গ্রামের একাধিক পাড়ায় কাটমানি ফেরতের দাবিতে পোস্টার পড়েছে। ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বড়বেলুন গ্রামে প্রায় ১৫–১৬ জন তৃণমূল নেতা-কর্মী আবাস যোজনা ও সরকারি শৌচাগার প্রকল্পের অনুদান থেকে কাটমানি আদায় করেছিলেন। দাবি, ওই সমস্ত কাটমানির টাকা ফেরত দিয়ে দিতে হবে। তবে ঘটনাক্রমে এদিন সকালেই নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বড়বেলুন-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভাতার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও। বর্তমানে তিনি বর্ধমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে।

গত রবিবার বড়বেলুন গ্রামে প্রাক্তন প্রধান পূর্ণিমা পোড়েলের বাড়িতে গিয়ে কাটামানি ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বেশকিছু বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে বিজেপির কয়েকজন কর্মী সমর্থকও আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। পূর্ণিমাদেবীর অভিযোগ ওদিন বিজেপির লোকজন তাদের বাড়িতে ভাঙচুর করে। প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পূর্ণিমাদেবীর স্বামী মানিক পোড়েল ভাতার থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলে কালীপদ মাঝি নামে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তিনি জামিনে ছাড়া পান। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে বড়বেলুন গ্রামে বিজেপি প্রতিবাদ মিছিল বের করে।

Advertisement

বুধবার সকালে বড়বেলুন গ্রামের একাধিক পাড়াতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে কাটমানি ফেরত চেয়ে পোস্টার পড়ে। বড়বেলুন গ্রামে মোট সাতটি সংসদ মিলে রয়েছে প্রায় ১১ হাজার ভোটার। এই গ্রামেরই বাসিন্দা ভাতার ব্লক তৃণমূল সভাপতি পঞায়েতের উপপ্রধান দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নামে এবং দেবাশিসবাবুর ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দিবাকর হাজরার বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত অফিসেই পোস্টার পড়েছে।

স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সরকারি আবাস যোজনা, শৌচাগার প্রকল্প, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প প্রভৃতি প্রকল্পে শাসকদলের নেতারা গরিব মানুষদের কাছে থেকে হাজার হাজার টাকা কাটামানি আদায় করেছেন। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দিবাকরবাবু বলেন, ” আমি অসুস্থ। বিশ্রামে রয়েছি। ওসব নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না।” দেবাশিসবাবুর স্ত্রী মীতাদেবী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী বুধবার সকালে বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার বর্ধমানে চিকিৎসা চলছে। স্থানীয় বিজেপি যুবনেতা রাজকুমার হাজরা বলেন, ” গ্রামের গরিব মানুষদের দাবি তাদের প্রাপ্য টাকা অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে। তা না হলে গ্রামবাসীরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। আমরা গ্রামবাসীদের পাশে রয়েছি।”

ছবি: জয়ন্ত দাস

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement