নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: কাটমানি ইস্যুতে এবার কাঠগড়ায় বিজেপি। দলের রাজ্য সম্পাদক ও লোকসভা ভোটে পরাজিত প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে। দলের নেতার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বিজেপি কর্মীরাই। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
এ রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের প্রথমসারির নেতা সায়ন্তন। গত লোকসভা ভোটে বসিরহাটে প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। ভোটের সময় প্রচার-সহ অন্যন্য খাতে খরচ করার জন্য দলের কাছ থেকে টাকা পান প্রার্থীরা। বসিরহাটের বিজেপি কর্মীদের একাংশের দাবি, সায়ন্তন বসু নিজেই জানিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটের জন্য ২ কোটির বেশি টাকা পেয়েছেন। কিন্তু দলের বুথ কর্মীদের কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। সায়ন্তন বসু-সহ বিজেপি নেতারা সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এমনকী, বিজেপির রাজ্য নেতা সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ও সেই টাকার ভাগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারও পড়েছে।
কী বলছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু? কাটমানি নেওয়া বা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের দাবি, ভোটের সময় যে টাকা পেয়েছিলেন, খরচের হিসেব-সহ বেঁচে যাওয়া টাকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস চক্রান্ত করে বসিরহাটে পোস্টার লাগিয়েছে। লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানের কাছে হেরে যান বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। ভোটে হারের পর ফেসবুক পোস্টে রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সায়ন্তন। তিনি লিখেছিলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি ১৮ বছর ধরে রাজনীতি করছি। আজ আমাদের গাড়ি গতিপূর্ণভাবেই চলছে। আমি এখনও অন্য কারও হাতে ব্যাটন তুলে দিতে চাই।’ বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর এই পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। প্রশ্ন উঠে, তাহলে কি ভোটে হেরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন সায়ন্তন? শেষপর্যন্ত অবশ্য তেমন কিছু হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.