অভিরূপ দাস: একদল পসরা সাজিয়েছে লুকিয়ে চুরিয়ে৷ একদল কেনাকাটা সারছে বুক ফুলিয়ে৷ কালীপুজোর রাতে এই সাহসিকতার মাশুল দিতে হতে পারে৷
অলিতে গলিতে লুকিয়ে চুরিয়ে শব্দবাজি বিক্রি৷ ক্রেতা এদিকে বুক চিতিয়েই চান দোদমা, কালীপটকা৷ বিক্রি করছে যখন ফাটাতে ক্ষতি কী! হুটারের আওয়াজে যখন পাততাড়ি গোটান দোকানি, নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে ছাদ থেকে চকোলেট ছোড়েন আবাসিক৷ তবে সে গুড়ে বালি হতে পারে এই দীপাবলিতে৷ আইন মেনে হাতকড়ি পরতে হতে পারে ক্রেতাকেও৷ এতদিন গাড়ির ডিকিতে, প্লাস্টিকের প্যাকেটে তল্লাশি করে বাজি মিললে স্রেফ ধমক দিয়েই ছেড়ে দিত পুলিশ৷ তবে পরিবেশমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় পরিষ্কার করে দিয়েছেন, এবার ক্রেতাদেরও মুশকিলে পড়তে হবে শব্দবাজি ফাটালে৷ আর এক্ষেত্রে প্রশাসনের হাতে তুরুপের তাস হতে পারে সেকশন ১৮৮ ইন্ডিয়ান পেনাল কোড৷
এতে স্পষ্ট বলা রয়েছে প্রতিটি রাজ্যে শব্দের ঊর্ধ্বসীমা মেনে শব্দবাজি ফাটাতে হবে৷ পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু এই ঊর্ধ্বসীমা ৯০ ডেসিবল, তাই দুর্গাপুজোর ক্যাপ ছাড়া অন্য কিছু ফাটানোর নিয়ম নেই এ রাজ্যে৷ ১৮৮ সেকশনে ছ’মাসের জেল ও জরিমানার বিধানও রয়েছে৷ যে আইনে ব্যাগভর্তি চকোলেট বোমা-সহ হাতেনাতে ধরা পড়লেই হাজতে থাকতে হতে পারে অভিযুক্তকে৷
কালীপুজোর দিন দশেক আগেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ দোদমা, চকোলেট বোমার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল৷ বিক্রির আশায় সমস্ত খুচরো বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছেও যায় প্যাকেট প্যাকেট শব্দবাজি৷ প্রমাদ গোনে আমজনতা৷ বাধ্য হয়েই পুরনো নির্দেশ বহাল করে পরিবেশ দফতর৷ এদিকে আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নতুন চকোলেট বোমা পৌঁছে গিয়েছে বাজারে বাজারে৷ বাজারে ছড়িয়ে পড়া এই শব্দবাজি যে ডানা মেলবে দীপাবলির রাতে তা ভালমতোই জানেন প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা৷ আর তাই হাতকড়ি নিয়েই কালীপুজোর রাতে রাস্তায় থাকবেন উর্দিধারীরা৷
অন্যদিকে দীপাবলির সময়ে অন্য আরেক আতঙ্কেও ভোগেন সাধারণ মানুষ৷ সেই লাউড স্পিকারের আওয়াজ নিয়েও কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রশাসন৷ আওয়াজে কারও অসুবিধা হলে সহজে পার পাবে না কেউই৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.