Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পরই তৎপর মুখ্যসচিব-ডিজি, খতিয়ে দেখলেন দেউচা পাঁচামির কাজ

স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তা।

CS and DG visits deucha pachami after Mamata Banerjee warning
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:January 3, 2025 5:24 pm
  • Updated:January 3, 2025 5:24 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বৃহস্পতিবার দেউচা পাঁচামি প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই শুক্রবার মহম্মদবাজারে প্রকল্পের কাজ নিয়ে বৈঠক করেন সচিব মনোজ পন্থ। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তা। বৈঠক শেষে মুখ্যসচিব বলেন, “দেউচা পাঁচামি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে। গ্রামবাসীদের স্বার্থে এলাকায় সামাজিক উন্নয়নের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তাও সম্পূর্ণ হবে।”

শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ বোলপুর স্টেশনে নামেন মুখ্যসচিব ও ডিজি। সেখান থেকে মহম্মদবাজার বিডিও অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। সেখানেই একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখ ও স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। বৈঠকের শেষে স্থানীয় আদিবাসী নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তাঁরা।

Advertisement

বৈঠকের পর সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যসচিব পন্থ বলেন, “এটা আমাদের স্বপ্নের প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আজ আমরা বৈঠক করেছি। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে উপর অংশের মাইনিং শুরু হবে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিংয়ের টেন্ডারিংয়ের কাজ শুরু হবে। এখানে ২.১ বিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা রয়েছে বলে অনুমান। প্রকল্প শুরু হলে অনেক কর্মসংস্থান হবে। গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।”

নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে দেউচা পাঁচামি প্রকল্পের ধীর অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়েন জেলাশাসক বিধান রায়। জেলাশাসকের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেউচা পাঁচামিতে কে কী করছে জানি, বীরভূম নিয়ে আগে খুশি ছিলাম, এখন নই। সাতদিন সময় দিচ্ছি। সব সমাধান করো।” এছাড়াও খাপছাড়াভাবে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বিক্ষিপ্তভাবে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে এদিন মুখ্যসচিব জানান, “পুরো এলাকার মধ্যে কিছু জায়গা চিহ্নিত করে, খনন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা প্রথম ধাপে ৩২৬ একর জমিতে কাজ শুরু করব। আরও ৪০ একর জমি আমরা নেব, যা পরে যুক্ত করা হবে।” 

উল্লেখ্য, এই প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক সমস্যা চলছে। আদিবাসী সংগঠন জমি অধিগ্রহণ আন্দোলন চালাচ্ছে। যাঁরা জমি দিয়েছেন, তাঁদের চাকরি ও অন্যান্য প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি পালন হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর হুশিয়াঁরির পর সেই ক্ষতগুলো প্রলেপ দিতে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের এই বৈঠক বলে অনুমান প্রশাসনিক মহলের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement