পলাশ পাত্র, তেহট্ট: ২০১৭-র পর ২০১৯৷ ফের গঙ্গার উপর হুগলি ও নদিয়ার সংযোগরক্ষাকারী ঈশ্বরগুপ্ত সেতুর দুটি গার্ডারের মাঝে দেখা দিল ফাটল৷ রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা৷ সোমবার দুপুরে এই ফাটলের খবর পেয়েই ইঞ্জিনিয়াররা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করেন৷ আপাতত বন্ধ রয়েছে ভারী যানচলাচল৷ তার জেরে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা৷
২০১৭-র শেষের দিকে হুগলি ও নদিয়ার সংযোগরক্ষাকারী ঈশ্বরগুপ্ত সেতুর পি ২ ও পি ৩ দুটি গার্ডারের মাঝে বিরাট আকারের ফাঁক দেখা গিয়েছিল। সোমবার দুপুরে মগরা থানা এলাকার এই সেতুর পি ৪ ও পি ৫ গার্ডারের মাঝে ফাঁক দেখতে পান সেতুতে কর্মরত শ্রমিকরা। প্রাথমিকভাবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের অনুমান সেতুর বিয়ারিং লক হয়ে গিয়েছে৷ যাকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিভাষায় বলা হয় ‘বিয়ারিং সেটেল’। এই ফাঁক দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টোল কর্মীরা হুগলির মগরা থানা ও নদিয়ার কল্যাণী থানায় খবর দেন। দুই থানার পুলিশ সেতুর দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে সেতুর উপর দিয়ে ভারী যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর ফলে বহু মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হন। বিশেষ করে দুই জেলার ছাত্রছাত্রীরা চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়। দুই জেলারই ছাত্রছাত্রীরা দুই পাড়ের বিভিন্ন স্কুল কলেজে যাওয়ার জন্য এই ঈশ্বরগুপ্ত সেতু ব্যবহার করে। দুই জেলার সংযোগ রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি সম্প্রতি মেরামতি করা হয়৷ তারপরেও ফাটল দেখা দেওয়ার ঘটনায় সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
১৯৮৯ সালে বাম জামানায় এই ঈশ্বরগুপ্ত সেতু সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি এই সেতুতে বারবার ফাটল দেখা দিচ্ছে৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বালি মাফিয়ারা গঙ্গার আশেপাশের এলাকা থেকে বালি তোলার কারণেই সেতুতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ঈশ্বরগুপ্ত সেতুকে বাঁচাতে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.