বাবুল হক, মালদহ: মালদহের বেহুলা সেতুর পিলারে ফাটল (Crack)! একটি নয়, তিন-তিন জায়গায় ফাটল। লোকমুখে সেই সংবাদ পেয়ে সাতসকালেই সেখানে ছুটে যান থানার আইসি (IC) হীরক বিশ্বাস। তিনিও ফাটল দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন। বেহুলা সেতুর তলায় নেমে নিজের মোবাইলে (Mobile) ছবিও তোলেন থানার এই পুলিশকর্তা। তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। যদিও ওল্ড মালদহের মঙ্গলবাড়ি এলাকায় অবস্থিত বেহুলা সেতুর (Bridge) ফাটল নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি থানার আইসি হীরক বিশ্বাস।
তবে সেতুর এই পরিস্থিতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, মালদহ বাইপাস সড়ক চালু হয়ে যাওয়ার পরও পুরনো ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের (NH 34) এই বেহুলা সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার লরি, ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, ট্যাক্সি-সহ অন্যান্য সমস্ত রকম যানবাহন চলাচল করছে। মঙ্গলবাড়ি এলাকায় রয়েছে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার (FCI) বড় গোডাউন। বেহুলা সেতুর উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে খাদ্যপণ্য বোঝাই শয়ে শয়ে লরি।
যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনার (Accident) আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা। মালদহ বাইপাস সড়ক তৈরির আগে এই বেহুলা সেতু ছিল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অধীনে। সেই সময় সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক করা হতো না বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এই সড়কের দায়িত্ব পেয়েছে রাজ্য সরকার। পূর্ত বিভাগ তার দেখভাল করছে। বেহুলা সেতুর পিলারে ফাটল দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অবশ্য শঙ্কিত নয় পূর্ত দপ্তর। সেতুটি এখনও সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারা।
মালদহের (Maldah) পূর্ত দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অসিতকুমার সাহা বলেন, “বেহুলা সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। পিলারের উপরে একটি জ্যাকেট পরানো থাকে। সেই জ্যাকেটের চাঙড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। তাতে সেতুর উপর কোনওরকম প্রভাব পড়বে না। সেই জ্যাকেট মেরামতের কাজ দু’একদিনের মধ্যেই শুরু করা হবে। বেহুলা সেতু নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কোনওরকম ঝুঁকিও নেই। সেতুটি এখনও সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.