দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ফের রাম-বাম যুগলবন্দির ছবি। আবারও হুগলিতেই। বিজেপির বিক্ষোভে ঝান্ডা হাতে দেখা গেল সিপিএম সমর্থকদের। গেরুয়া-লাল মিশে একাকার। বাম-রাম জোটের সত্যতার ছবি আবার প্রকাশ্যে।
সম্প্রতি পোলবার দাদপুরে বিজেপির মিছিলে বামেদের অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল। তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কে চরমে পৌঁছায়। আর বুধবার পোলবার সুগন্ধায় আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ ইস্যুতে গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির মিছিল করে ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল। আর বিজেপির সেই মিছিলেই সিপিএম কর্মীদের দেখা গেল লাল ঝান্ডা হাতে হাঁটতে। যা নিয়ে ফের প্রবল অস্বস্তিতে আলিমুদ্দিন।
স্থানীয় সিপিএম কর্মী সুশান্ত নায়েকের বক্তব্য, “সিপিএম কিছুই করেনি। তাই দাবি আদায়ের জন্য বিজেপির সঙ্গে এসেছি। আবাস যোজনার ঘর পাইনি।” অন্যদিকে, বিজেপি অবশ্য খোলাখুলি ভাবেই সিপিএম কর্মীদের স্বাগত জানিয়েছে। বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ জানান, “বাম জমানায় সাধারণ সিপিএম কর্মীদের অনেকে কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা পাননি। তাই বাধ্য হয়ে আজ তারা নিজেদের প্রাপ্য আদায়ের জন্য বিজেপির মিছিলে সামিল হয়েছেন।” অস্বস্তি এড়াতে সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষের সাফাই, “বিজেপির কিছু ছেলে রাস্তা থেকে সিপিএমের ঝান্ডা খুলে কিছু লোকের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে।”
সব বিজেপি দাঙ্গাবাজ নয়, বিজেপি করেন এমন ভাল লোকজনও আছেন। দু’দিন আগেই বিজেপি সম্পর্কে দিঘায় পার্টির সমাবেশে এমনই মূল্যায়ন করেছিলেন সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র। বিজেপি নিয়ে সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্যর এমন মূল্যায়নকে ‘দ্বিমুখী নীতি’ বলে সোমবার তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “তাঁর দলের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই সূর্যবাবুর। ওঁর পার্টির নীতিটাই হল দু’মুখো। বামেদের ভোট কমেছে বলেই তো বিজেপির ভোট বেড়েছে। কোথাও আবার বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দিচ্ছে বামেরা।”
আবার গত শনিবার স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারীও প্রকাশ্য সভায় স্বীকার করে নেন, “হিন্দু বামপন্থীরা বিধানসভায় ভোট দিয়েছে বলেই আমি জিতেছি।” ফলে রাম—বাম আতাঁত বারে বারে প্রকাশ্যে চলে আসছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.