সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সিপিএমের ভোটে তৃণমূলের উপপ্রধান! লাল-সবুজের নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে চাঞ্চল্য অণ্ডালে। উপপ্রধান নির্বাচিত হলেও তাঁকে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে সাফ ঘোষণা তৃণমূলের জেলা সভাপতির। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে উলটপুরাণ অণ্ডাল ব্লকের খান্দরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পদে।
খান্দরা পঞ্চায়েতে ২৩টি আসনের মধ্যে ২০টি আসনে জয় পায় তৃণমূল। ৩টি আসন পায় সিপিএম। বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠনের সময়ে প্রধান পদে দলের অনুমোদিত নামকেই সমর্থন করেন বাকি পঞ্চায়েত সদস্যরা। কিন্তু গোল বাঁধে উপপ্রধান পদ নিয়ে। দলের মনোনীত নাম আশিস ভট্টাচার্যের, তা নিয়ে বিরোধিতা করেন সিপিএম সদস্যরা। সিপিএমের ৩ সদস্য জোট বাঁধেন আশিস ভট্টাচার্যের বিরোধীদের সঙ্গে। উপপ্রধান পদ নিয়ে তখন আড়াআড়ি ভাগ দলেই।
তৃণমূলের ২০জন সদস্যের মধ্যে ১০জন আশিস ভট্টাচার্যের সঙ্গে। বাকি ১০জন বিরুদ্ধে। এই সময়েই সিপিএমের তরফে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ বাদ্যকরের নাম প্রস্তাব করা হয়। তৃণমূলের প্রস্তাবিত উপপ্রধান পদে আশিস ভট্টাচার্যকে আটকাতে সিপিএমের ৩ সদস্য আশিসের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দেয় গণেশ বাদ্যকরকে। ১৩-১০ ভোটে সিপিএমের সমর্থনে উপপ্রধান পদে জিতে যান গণেশ বাদ্যকর। দলের মনোনীত নাম সিপিএমের কাছে পরাজিত হতেই চটে যায় দলের বৃহত্তর অংশ।
এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “দলবিরোধী কাজ করেছেন উপপ্রধান। দলের প্রস্তাবিত প্রার্থীকে হারাতে সিপিএমের সাহায্য নিয়েছে। উপপ্রধান হলেও তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।” খান্দরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পদে তৃণমূলের প্রার্থীকে সিপিএমের সমর্থন প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। ঘটনার সত্যতা থাকলে দল ব্যবস্থা নেবে। আমাদের কাছে তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই রাজনৈতিক শত্রু।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.