দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: জয়নগর কাণ্ডে ঘরছাড়া বহু। তাঁদের ঘরে ফেরাতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে সুজন চক্রবর্তী-সহ সিপিএম নেতারা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন বামনেতারা। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি। এদিকে চরণে বারুইপুরের এসডিপির বাধার মুখে নওশাদ সিদ্দিকি। বাকবিতণ্ডায় জড়ান ভাঙড়ের বিধায়ক। পুলিশের সাফ কথা, তাঁরা ঘরছাড়াদের ঘরে ঢুকতে দেবেন। সেক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তবে বহিরাগতদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
সোমবার ভোররাত থেকে জ্বলছে জয়নগর। নমাজ পড়তে বেরিয়ে খুন হন তৃণমূল নেতা সইফউদ্দিন লস্কর। তার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে উন্মত্ত জনতার মারে মৃত্যু হয় নেতা খুনে অভিযুক্তের। মৃত তৃণমূল নেতার বাবা সিপিএমের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। আর তার পরই ঘটনাস্থল থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের দলুয়াখাঁকি গ্রামে শুরু হয় তাণ্ডব। অত্যাচারের জেরে ঘরছাড়া হয় বহু পরিবার। রাতে বাইরে বাইরে কাটে সকলের। মঙ্গলবার বিকেলে ঘরছাড়াদের সঙ্গে নিয়ে জয়নগরের দলুয়াখাঁকি গ্রামে যাচ্ছিলেন সিপিএমের প্রতিনিধিদল। ছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তী, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। কিন্তু গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশি বাধার মুখে পড়ে নেতারা একা যাওয়ার আরজি জানান, তাতেও সম্মতি মেলেনি। পরবর্তীতে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
বাধা মুখে ফিরে আসেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। জানান, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি না থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ঘরছাড়াদের জন্য। একিদে জয়নগর থানায় অভিযোগ করেন সুজন চক্রবর্তীরা। এদিকে জয়নগরে যাওয়ার পথে এসডিপিওর বাধার মুখে ভাঙড়ের বিধায়ক। এসডিপিএকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন নওশাদ। তবে তা সত্ত্বেও প্রবেশের অনুমতি মেলেনি। শেষে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড় পুলিশ। তাঁরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ঘরছাড়ারা সকলে ফিরতে পারবেন। পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে তাঁদের ফেরাবে। তবে এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে বহিরাগত কাউকে এলাকায় প্রবেশ করতে দেবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.