ধীমান রায়, কাটোয়া: গরু পাচার মামলায় দিল্লির নিম্ন আদালত নির্দেশে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে ইডি (ED)। রাজনৈতিক মহলে ফের তা ফের নতুন করে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানে গিয়ে নজিরবিহীনভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে আক্রমণ করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। যা নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
সোমবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার বাজারে সিপিএমের (CPM) খেতমজুর সংগঠনের সম্মেলনে যোগ দিতে যান তিনি। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, “আদালত সঠিক নির্দেশই দিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল মার্কা দুষ্কৃতীরা হয় বাঘের মতো খাঁচায় থাকুক, নয়তো তাদের জঙ্গলে পাঠানো হোক। সভ্য সমাজে তারা থাকবে কেন?”
সুজন চক্রবর্তীর আরও বক্তব্য, ”অনুব্রত মার্কা অপদার্থ দুষ্কৃতীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য হতে পারে। কিন্তু বাংলার সমাজজীবনে এদের কোনও ভূমিকা নেই। কোনও মূল্য নেই অপরাধী ছাড়া। ওকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অর্ডার হয়েছে। যথাযথ হয়েছে। এবার ঠিকমতো করে বের করা হোক কোথা থেকে এত সম্পত্তি হয়েছে। ওগুলো কবে বাজেয়াপ্ত করা হবে, তার ব্যবস্থা করা হোক।” তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তরজা।
এদিকে, আদালতের নির্দেশে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর মন্তব্য, ”পশ্চিমবঙ্গের বাঘকে এবার দিল্লির খাঁচায় নিয়ে আসা হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি বাঘের সঙ্গে তুলনা করে বিতর্ক উসকেছিলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। সোমবার দিল্লির আদালতে অনুব্রত ধাক্কা খাওয়ার পরও তিনি নিজের বক্তব্যে অনড় তিনি। এদিনও ফিরহাদ বলেন, ”আমি এখনও বলব অনুব্রত বীরভূমের বাঘ। কোর্টের উপর আমাদের ভরসা রাখা উচিত। আমি মনে করি কোর্ট কখনও অবিচার করবে না। উপরে ভগবান আর নিচে আদালত – এদের কাছে ন্যায় বিচার পাবই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.