Advertisement
Advertisement

Breaking News

চাকরির টোপ দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত সিপিএম নেতা

পার্টি অফিসের ভিতরেই রোজ চলত মহিলার উপর অত্যাচার!

 CPM leader imprisoned for raping a party worker
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 23, 2016 8:39 am
  • Updated:December 23, 2016 8:45 am  

স্টাফ রিপোর্টার: এক মহিলাকে চাকরি দেওয়ার নাম করে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পার্টি অফিসের মধ্যেই ধর্ষণের অভিযাগে গ্রেফতার হলেন সিপিএমের এক জোনাল সম্পাদক৷ ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের বাপুলিবাজারে সিপিএম পার্টি অফিসে৷

পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহসভাপতি ও জোনাল সম্পাদক রইসুদ্দিন মোল্লাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক মহিলাকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

Advertisement

জেলার পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরি জানিয়েছেন, “পার্টি অফিসের মধ্যেই ওই মহিলাকে এক বছরের বেশি সময় ধর্ষণ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ৷ বিকেলে অভিযোগ আসতেই সন্ধ্যায় পুলিশ সিপিএম জোনাল সম্পাদক রইসুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে৷” ধর্ষণের পাশাপাশি মুখ বন্ধ রাখার জন্যও অভিযুক্ত পার্টি নেতা হুমকি দিয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ধর্ষিতা৷ বস্তুত এই কারণেই তদন্তে নেমে মথুরাপুর থানার ওসি কৌশিক কুণ্ডু ধৃত সিপিএম জোনাল সম্পাদকের বিরুদ্ধে ৩৭৬/৩২৩ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা শুরু করেছে৷

আজ, শুক্রবার অভিযুক্ত নেতাকে ডায়মন্ডহারবার আদালতে হাজির করে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ৷ একইসঙ্গে অভিযোগকারিণীর মেডিক্যাল টেস্ট করাতে আদালতের কাছে অনুমতি চাইবে মথুরাপুর থানা৷ জেলা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারিণীর মেডিক্যাল পরীক্ষার পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে৷

পার্টির জোনাল সম্পাদক গ্রেফতারের ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও মিথ্যা মামলা’ বলে এদিন পাল্টা অভিযোগ করেছেন সিপিএম জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী৷

বামজমানায় মথুরাপুরের ‘ত্রাস’ রইসুদ্দিন মোল্লার দাপটে ‘বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত’ বলে অভিযোগ৷ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হলেও তিনিই ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের দক্ষিণহস্ত৷ কালিকাপুর, গোয়ালবেড়ে এলাকায় তৃণমূলের একাধিক নেতাকে খুন ও বহু বিরোধী কর্মীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল এই রইসুদ্দিনের বিরু‌দ্ধে৷ এদিন বিকেলে মথুরাপুর থানায় ওসি কৌশিক কুণ্ডুর কাছে ধর্ষণের অভিযোগ আসতেই সক্রিয় পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করেছে রইসুদ্দিনকে৷

মথুরাপুরের ঘোষের চকের বাসিন্দা ওই মহিলা পুলিশকে এফআইআরে বলেছেন, “চাকরি দেওয়ার কথা থাকলেও প্রথমে পার্টি অফিসে নানা কাজে লাগান রইসুদ্দিন৷ দুপুরের দিকে যখন অফিস ফাঁকা হয়ে যেত তখন জোর করে ওই নেতা ধর্ষণ করতেন৷” কাউকে এই শারীরিক সম্পর্কের কথা বললে আর চাকরি হবে না বলেও মাঝে মধ্যে হুমকি দিতেন জোনাল সম্পাদক৷ একবার বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে বলেও ওই মহিলাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ৷ পুলিশ সমস্ত অভিযোগই তদন্ত করে দেখছে বলে জেলার পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরি জানিয়েছেন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub