শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ষড়যন্ত্রের শিকার! সিপিএম থেকে বহিষ্কার হয়ে দলের লোকজনের বিরুদ্ধেই আঙুল তুললেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী। তাঁর খোঁচা, নিজেরা কাঁচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ল। প্রশ্ন তুললেন দলীয় শৃঙ্খলা নিয়েও। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলেরই বিরুদ্ধে। দাবি করেছেন, চক্রান্তকারীদের সঙ্গে তলে তলে বিজেপির সাঁট আছে। উল্লেখ্য, দলের মহিলা নেত্রীর সঙ্গে অশ্লীল চ্যাট ভাইরাল হতেই প্রাক্তন সংসদ তথা বাম জমানার মন্ত্রী বংশগোপালকে বহিষ্কার করেছে সিপিএম।
ভারচুয়াল যৌন হেনস্তার ঘটনা সামনে আসার পর রবিবার রানীগঞ্জে নিজের বাড়িতে প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বংশগোপাল। সেখানে তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় লাগাতার কুৎসা করা হল। পার্টির তদন্তে আস্থা রেখেছিলাম। আর আমাকে দল থেকে বহিষ্কারের খবর আমিই জানতে পারলাম না। মধ্যরাতে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এটা জানতে হল। তাহলে দলের শৃঙ্খলা কোথায়? আমি যে দল দেখেছিলাম, এখন আর সে দল নেই।” প্রাক্তন সাংসদের কথায়, “আমি ট্র্যাপের শিকার। আমারই দলের লোকজন আমার বিরুদ্ধে ট্র্যাপ করল।”
বংশগোপাল চৌধুরীর দাবি, “ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর তৃণমূল আমাকে হয়তো গালিগালাজ করেছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত করেনি। যতটা চক্রান্ত করছে আমার নিজের দল আমার বিরুদ্ধে করেছে। যখন মন্ত্রী ছিলাম তখনও একটা অংশ চক্রান্ত করত। যখন সাংসদ ছিলাম তখনও আমার বিরুদ্ধে মহিলাঘটিত সাজানো ঘটনার চেষ্টা হয়েছিল।” তাঁর আরও অভিযোগ, “কলকাতা থেকে এসে এই জেলায় যারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিজেপির সঙ্গে তলে তলে আঁতাঁত রয়েছে। তারা তোলাবাজ। সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত।”
দলের একাংশের বিরুদ্ধে প্রাক্তন সাংসদের তোপ, “রাজ্য পরিবর্তনের পর আওয়াজ তোলা হয়েছিল, আমার ঘরে নাকি ৫০ কোটি টাকা আছে। কই এতগুলো বছর পেরিয়ে গেল তবু কোনও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেল না। শৃঙ্খলা মেনে এতদিন চুপ ছিলাম। কিন্তু লাগাতার কুৎসা প্রচারকারীরাও দলের পদে আছেন। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?” দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে কি অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন বংশগোপাল? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,” সিপিআই, তৃণমূল, নকশাল সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি আপাতত সমাজের কাজ করে যাব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.