বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: পাশে দাঁড়াল বামেরা। তাঁদের উদ্যোগেই সম্পন্ন হল হাঁসখালির (Hanskhali Rape Case) মৃত নাবালিকার পারলৌকিক কাজ। এদিকে এদিনই মৃতার বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবের ৭ প্রতিনিধি। গিয়েছেন ৩ সিবিআই আধিকারিক ও সেভ ডেমোক্রেসির সাত প্রতিনিধি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সেভ ডেমোক্রেসির সদস্যরা পৌঁছে প্রথমেই কথা বলেন নাবালিকা নির্যাতিতার বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন সেভ ডেমোক্রেসির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা দীপালি ভট্টাচার্য। এই ঘটনার শেষ দেখার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। মৃত নাবালিকার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিয়ে এদিন দিনভর চূড়ান্ত ‘নাটক’ চলে গ্রামে। অবশেষে বামেদের তরফে পুরোহিত এনে পারলৌকিক ক্রিয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
দীপালি ভট্টাচার্যের কথায়, “একজন মহিলা হিসেবে এই ধরনের গর্হিত ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।” পাশাপাশি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, ”মধ্যযুগীয় অন্ধকার নেমে এসেছে এই রাজ্যে।” মৃতা অন্তঃসত্ত্বা ছিল কি না সেই প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অধিকার কি আছে যুবসমাজের? নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এদিন কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবের প্রতিনিধিরাও কথা বলেন মৃতার পরিবারের সঙ্গে। তারপর হাজির হন অভিযুক্তের বাড়িতে। সেখানে রীতিমতো তল্লাশি চালানো হয়। সন্ধে গড়িয়ে গেলেও তল্লাশির কাজ চলছে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তল্লাশির মাঝেই লোডশেডিং হয়ে যায় গ্রামে। সমস্যায় পড়তে হয় আধিকারিকদের। এখনও গ্রামেই রয়েছেন আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.