স্টাফ রিপোর্টার: কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করলে সিপিএম দ্বিতীয়বার ঐতিহাসিক ভুল করবে, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা৷ তাঁদের দাবি, জোট ছাড়লে ক্ষতি সিপিএমেরই৷ অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে৷
সোমবারই সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি জানিয়ে দেয়, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সিদ্ধান্ত পার্টি কংগ্রেসের গৃহীত লাইনের বিরুদ্ধে ছিল৷ তবে, সন্ত্রাসের মোকাবিলায় বৃহত্তর ঐক্য তৈরি করতে হবে৷ সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতাদের এই বক্তব্যের পরই রাজ্য কংগ্রেসের নেতারাও সুর চড়িয়েছেন সিপিএমের বিরুদ্ধে৷ বামেদের সঙ্গে জোটের প্রধান দুই কান্ডারি কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি ও প্রদীপ ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, জোট না থাকলে ক্ষতি হবে সিপিএমেরই৷ বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “জোট ভাঙলে দ্বিতীয়বার ঐতিহাসিক ভুল করবে সিপিএম৷ আশাকরি সিপিএম নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে৷” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, “সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে আমরা জোটের আলোচনা করিনি৷ যেহেতু রাজ্যভিত্তিক জোট ছিল, তাই বাংলার সিপিএম নেতাদের সঙ্গে আমরা জোটের আলোচনা করেছিলাম৷ আর এই বিষয়টা জানতেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতারা৷ রাজ্য সিপিএম নেতারা প্রকাশ্যে জোট ছাড়ার কথা ঘোষণা করলে তখন আমরা আমাদের কথা বলব৷” বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও অবস্থায় জোট যে ছিল না, তা দু’দলের নেতাদের বক্তব্যই প্রমাণ দিচ্ছে৷ নির্বাচনী বৈতরণি পেরোনোর জন্য ছিল আসন সমঝোতা মাত্র৷ ভোটের আগেই দু’দলের নেতারা জানতেন, তৃণমূলকে কোনও অবস্থায় হারানো যাবে না৷ ভোটের আগে মানুষকে চমক দেখানোর জন্য জোট করলেও বাম-কংগ্রেসের উপর আস্থা রাখেনি রাজ্যের মানুষ৷ ভোট মেটার পর বাম-কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্যে ফারাক লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ যারই শেষ পরিণতি সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত–কংগ্রেসের ‘হাত ছাড়ো’৷ যদিও কংগ্রেস নেতারা আশাবাদী, সিপিএম হাত ছাড়লেও নিজের শক্তি ধরে রাখতে পারবে তাদের দল৷ কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, ৪৪টি আসন জেতার ফলে বামেদের থেকে এগিয়ে রয়েছে তাঁরা৷ আর এই অঙ্কেই নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে বামেদের আগামী নির্বাচনে বেগ দেওয়ার কৌশলও নিয়ে ফেলতে চলেছে কংগ্রেসের বঙ্গ ব্রিগেড৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.