ছবি: প্রতীকী।
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শূন্য থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া আলিমুদ্দিন। বিজেপি নয়, বিকল্প বামেরাই এই স্লোগান তুলে ভোটব্যাংক ফেরাতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে সিপিএম (CPM)। মূলত, দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনকেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। উৎসবের মরশুম শেষ হলেই অর্থাৎ কালীপুজোর (Kali Puja 2022) পরই বুথ চলো অভিযান হবে। পাশাপাশি বুথে বুথে টিম গঠন করা হচ্ছে। যেখানে পক্ককেশ নয়, তরুণ প্রজন্মকেই সামনে আনা হচ্ছে। একইসঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে এমন যে কোনও ইস্যুতে পথে নেমে প্রচার আন্দোলনকে আরও তীব্র করে তোলা। এভাবেই আগামিদিনে ব্লুপ্রিন্ট সাজাচ্ছে আলিমুদ্দিন। রাজ্য পার্টি সূত্রে এমনই খবর।
একুশের বিধানসভা ভোটে বামেদের প্রাপ্ত আসন শূন্য। প্রধান বিরোধী দলের তকমা এখন বিজেপির হাতে। তাই পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে বুথ থেকে শুরু করে প্রচার আন্দোলনে তরুণ ব্রিগেডকে আরও বেশি করে সামনে রাখতে চাইছে তারা। বুথে বুথে যে টিম সাজানো হচ্ছে তা পক্ককেশ নয়, কালো চুলের তরুণ ব্রিগেডকে সামনে রেখেই। পার্টির একাংশের কথায়, হারানো ভোট ফিরে পেতে আলিমুদ্দিনেরও ভরসা এই তরুণ মুখই। তরুণ ব্রিগেডের ‘ক্যাপ্টেন’ ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় তো রয়েছেনই, সামনে থাকছে একঝাঁক তরুণ প্রজন্মের নেতা। রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ক্রমশ শক্তি ক্ষয় হয়েছে সিপিএম তথা বামেদের। পরিবর্তনের পর একের পর এক নির্বাচনে তৃণমূল যখন তাদের ভোট বাড়িয়ে একক আধিপত্য বজায় রেখেছে, তখন কমেছে বামেদের ভোট। বামেদের বড় অংশের ভোট চলে গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে বলে দাবি সিপিএম নেতাদের।
৭৮ হাজারের বেশি বুথ রয়েছে রাজ্যে। পার্টির সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে বহু বুথেই কর্মীর অভাব রয়েছে। বুথে লড়াই দেওয়ার মতো লোকও নেই। একাধিক জেলা কমিটি থেকেও রাজ্য পার্টির কাছে এই রিপোর্ট এসেছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বুথে বুথে টিম তৈরি করে নিতে চাইছে আলিমুদ্দিন। গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিয়ে শক্তিশালী টিম গঠন, পাড়ায় পড়ায় কর্মসূচি, আন্দোলন করে নিজেদের ভিত আরও শক্ত করে নিতে চাইছে সিপিএম নেতৃত্ব। দলের যুব ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বকেই বুথ কমিটির সিংহভাগ দায়িত্ব দিয়ে সামনে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এক, পার্টি নেতৃত্বকে বলা হয়েছে এলাকায় মাটি কামড়ে পড়ে থাকা। স্থানীয় ইস্যু নিয়ে মানুষের পাশে থাকা। দুই, সাংগঠনিক শক্তি বেশি রয়েছে এরকম বুথ বা পঞ্চায়েত এলাকায় আন্দোলন সংগঠিত করা। তিন, শক্তির বিচারে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে পঞ্চায়েতগুলিকে ভাগ করা হচ্ছে। চার, বুথ কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠক, সেখানে স্থানীয়দের নিয়ে আসার পরিরল্পনা। পাঁচ, বাড়ি বাড়ি লিফলেট বিলি থেকে গোপন প্রচার। এরকমই একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.