আবাসে বাড়ি পেয়ে খুশি মিনতি দাস মণ্ডল। ছবি - রতন দে
রাজা দাস, বালুরঘাট: দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে সিপিএম করে এসেছেন তাঁরা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও লাল ঝান্ডা থেকে সরে আসেননি। কিন্তু দল ওই পরিবারকে কখনও দেখেনি বলে অভিযোগ। মাটির বাড়িতেই দীর্ঘদিন ধরে বাস। বাম সরকার থাকার সময়ও নুন আনতে পান্তা ফুরিয়েছে ওই পরিবারের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা আবাস যোজনায় রাজ্যের বাসিন্দাদের বাড়ির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বহু জায়গায় বাড়ির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। বালুরঘাটের চকভৃগু এলাকার বাসিন্দা ওই পরিবারও এবার পাকাবাড়িতে থাকবেন। আবাস যোজনায় ওই পরিবার এবার বাড়ি পেলেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু এলাকার বাসিন্দা ওই সিপিএম পরিবার। দুই দশকের বেশি সময় ধরে পরিবারের কর্তা নিরঞ্জন দাস সিপিএম দলের সঙ্গে। বহু ওঠাপড়ার সাক্ষী তিনি। কিন্তু বাম সরকারের সময়ও ওই পরিবার তেমন কোনও উপকার পায়নি। দলও ওই দাস পরিবারের পাশে থাকেনি কখনও। এমনই দাবি নিরঞ্জনের স্ত্রী মিনতি দাস মণ্ডলের। ওই পরিবার মাটির বাড়িতে থেকে এসেছেন দীর্ঘ সময় ধরে। নিরঞ্জন এলাকায় দুধের ব্যবসা করেন। ২১ বছরের একমাত্র সন্তান বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন। ছেলের চিকিঠসার জন্য বিস্তর খরচও হয়েছে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকার জন্য মাটির বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছিল আগেই। উপায় না থাকায় তবু সেই বাড়িতেই থাকতে হয়েছে। ঝড়জলের রাতে সেই বাড়িতে যেন প্রাণ হাতে নিয়ে থাকা।
তবে এবার সেই সমস্যা কাটতে শুরু করেছে। কারণ, বাংলা আবাস যোজনায় পাকা বাড়ি পাচ্ছে ওই পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির কথা ঘোষণা করার প্রেই কাজ শুরু হয়। রাজ্যজুড়েই তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। চকভৃগু এলাকাতেও বাসিন্দাদের বাড়ির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। সেসময় নাম নেওয়া হয়েছিল ওই মণ্ডল পরিবারের। পরে দেখা যায়, সরকারি বাড়ির চূড়ান্ত তালিকায় তাঁদের নাম আছে। বাড়ি তৈরির প্রথম ধাপের টাকাও এসে গিয়েছিল। সেই মতো বাড়ি তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। মিনতি মণ্ডল দাসের নামে ওই বাড়ি পেয়েছে পরিবার।
মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ওই পরিবার। রাজনীতির উপরে উঠে মানুষের পাশে এই সরকার থাকে। সেই কথাই বলেছেন মিনতি মণ্ডল দাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.