Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাম

ঘরে বসে পর্যালোচনা নয়, পথে নেমে আন্দোলনের পক্ষে জোর সওয়াল সিপিএমের একাংশের

এখনই শুধরে না নিলে ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কায় দলের একাংশ৷

CPM faction sees opportunity in defeat, rues meek response
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 31, 2019 5:14 pm
  • Updated:May 31, 2019 5:14 pm  

কলহার মুখোপাধ্যায়: নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়। ভোট ব্যাংকে  ভয়াবহ ধস নেমেছে। তারপরও কেতাবি ব্যবস্থা আঁকড়ে ধরে আত্মসমালোচনা, পর্যালোচনার পর তবেই আন্দোলনের গতিমুখ নির্দিষ্ট করার পরিকল্পনা করছে বাম শিবির। চিরাচরিত এই শম্বুক গতির বিরুদ্ধে এবার তোপ দাগল দলের একাংশ। ভোটের এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও দলকে আন্দোলনমুখী করতে না পারার জন্য সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনার পথে হাঁটতে চলেছে দলের লড়াকু সৈনিকরা।

           [আরও পড়ুন: ভাটপাড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, গ্রেপ্তার ১০]

Advertisement

একদিন আগে সিপিএমের এক বিধায়ক প্রায় প্রকাশ্যেই লড়াইয়ের ময়দানে না নামার জন্য সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বকে একহাত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দলের এক প্রাক্তন বিধায়ক ব্যঙ্গের সুরে বলেছেন, “জল আরও ঘোলা হওয়ার অপেক্ষা করছে দল। তারপর বোধহয় মাছ ধরতে নামবে।” রাজ্য রাজনীতির হাওয়া আচমকা ঘুরতে শুরু করার পর বাম ভোটে অপরিমেয় ক্ষয় ধরেছে। অধিকাংশ বাম প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একটাই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে, তাহলে এই রাজ্যে বামেদের ভবিষ্যৎ কী? উত্তরে সিপিএমের প্রাক্তন এক মন্ত্রীর বক্তব্য, এটাই তো আন্দোলন শুরুর উপযুক্ত অবসর। একদিকে তৃণমূলের অপশাসন ও অত্যাচার অন্যদিকে বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষ, এই দুই ইস্যু নিয়ে রাজ্যে ঝড় তুলে দিতে হবে।  প্রতিপক্ষ কঠিন হলে বাম আন্দোলনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অতীতে তা দেখা গিয়েছে। দেশে জরুরি অবস্থা জারির সময়কালে বামেদের আন্দোলন লড়াই রাজ্যবাসী মনে রাখবে। সেরকমই কঠিন সময় এখন। এখনই তো মাঠে নেমে লড়াই করে কর্মী, সমর্থকদের চাঙ্গা করতে হবে।

[আরও পড়ুনবিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার, অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে থানায় বিক্ষোভ]

এই প্রশ্নেই সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ তুলেছেন দলের এক শ্রেণির নেতা। তাঁদের বক্তব্য, এখন ময়দানে নেমে লড়াই না করলে অবশিষ্ট কর্মীদেরও টিঁঁকিয়ে রাখা যাবে না। দলকে আন্দোলনমুখী করে তুলতে হবে। দলের বিপ্লবী চরিত্রকে পুনরুজ্জীবিত করার কাজ অবিলম্বে শুরু করতে নির্দেশ দিতে হবে নেতৃত্বকে। এই মূহূর্তে তৃণমূল ছেড়ে দলে দলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক দেখা যাচ্ছে। সিপিএমের একাংশের মূল্যায়ন, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের বেশিরভাগটাই লুম্পেন শ্রেণির। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মানুষ তাদের হাতে অত্যাচারিত হয়েছে। বিরোধী রাজনীতির পরিসর এই লুম্পেনদের হাতে ছেড়ে না দিয়ে বামেদের ছাত্র ও যুব সংগঠনকে দিয়ে গড়ে তোলার কাজ শুরু করতে হবে, এমনটাই মনে করছে দলের একাংশ। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement