সম্যক খান, মেদিনীপুর: বিলম্বিত বোধোদয়! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের প্রকল্প বলে আর বিরোধিতা নয়, বরং উলটো পথে হেঁটে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ থেকে শুরু করে ‘কন্যাশ্রী’, ‘যুবশ্রী’ সম্পর্কে জনগণকে ওয়াকিবহাল করতে প্রচারে নামল সিপিএম। সম্প্রতি পুস্তিকা ছাপিয়ে এসব প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে জনতাকে বোঝাতে কর্মশালা করল দল। বরাবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করা সিপিএমের এহেন উলটপুরাণে স্তম্ভিত অনেকেই। ভোটের ভাঁড়ারে শূন্যতা কাটাতেই কি কমরেডদের এহেন বদল? উঠছে প্রশ্ন।
সম্প্রতি মেদিনীপুর শহরে কর্মশালা করল সিপিএম। সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে ওই কর্মশালার জন্য প্রকাশিত পুস্তিকায় সরকারি প্রকল্পগুলি কী ও কেন, নাম ধরে ধরে ওই সব প্রকল্পগুলির সুবিধার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। জনগণ যাতে এসব সরকারি প্রকল্পরে সুবিধা সহজে গ্রহণ করতে পারেন, সেকথা বোঝানো হয়েছে। দলীয় নেতাদের কাছে প্রচার সংক্রান্ত দিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এ বিষয়ে জেলা সিপিএমের সম্পাদক বিজয় পাল বলেছেন, ”সরকারি প্রকল্প কোনও দলের নয়। সরকারি প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ গরিব মানুষরা তা ভোগ করতে পারেন না। তাঁদের সচেতন করার লক্ষ্যেই এই কর্মশালা। ব্লকে ব্লকেও এ ধরনের কর্মশালা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
সেদিন খুব অতীতের নয়, যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পটির কথা ঘোষণা করেন, তখনও তীব্র বিরোধিতা করেছিল সিপিএম, বিজেপি। প্রথমে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর ভাতা ছিল মাসে ৫০০ টাকা, তপসিলি জাতি ও উপজাতির জন্য তা ছিল ১০০০ টাকা। তা নিয়ে সিপিএমের কটাক্ষ ছিল, ৫০০ টাকা ভিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ বলতে শুরু করেছিলেন, ৫০০ টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার ছক তৃণমূল সরকারের। কিন্তু এত বিরোধিতা যে আদতে লাল পার্টির জনসমর্থনে ধস নামিয়েছে, পরপর বেশ কয়েকটি নির্বাচনের নিরিখে তা বেশ টের পেয়েছে কমরেডকুল। তাই বোধহয় এখন উলটো সুর সেই সিপিএমের গলাতেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.