নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সেই ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশাল জনসভা করেছিল সংযুক্ত মোর্চা জোট। সে প্রচারের ফলাফল কী, তা সকলেই জানেন। জোটের শরিক বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে শূন্য এবং আইএসএফ (ISF) একটি আসন। কোনওক্রমে জোটের মুখরক্ষা করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তারপর অবশ্য জোট উদ্যোক্তারা স্রেফ নির্বাচনী জোট বলে দায় সেরেছিলেন। এবার সামনে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। সিপিএম, কংগ্রেস ফের হাতে হাত ধরে জোট বেঁধে লড়ার পক্ষে। বৃহস্পতিবার জোটের বড়সড় সভা হয়ে গেল বীরভূমের সিউড়িতে। এটাই শুরু। কিন্তু উল্লেখ্য, অধীর চৌধুরী, মহম্মদ সেলিমদের এই সমাবেশের সূচনায় ব্রাত্য আরেক জোটসঙ্গী আইএসএফ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে কোনও বার্তা আসেনি সিউড়ির সমাবেশ নিয়ে, তাই তাঁরা অনুপস্থিত।
বৃহস্পতিবার সিউড়ির বেণীমাধব স্কুলের মাঠে যৌথ সমাবেশ ছিল সিপিএম, কংগ্রেসের। ২০২১ এ ব্রিগেডে তাঁদের জোটের সভার পর এটাই প্রথম জোট সমাবেশ। কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury), আবদুল মান্নানরা। সিপিএমের প্রতিনিধিত্ব করেছেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। অধীর চৌধুরী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ”২০২১এ আমরা শূন্য ছিলাম। তখন ধর্মনিরপেক্ষ জোটের ক্ষতি হয়েছিল, লাভ হয়েছিল সাম্প্রদায়িকতা। কিন্তু এবার সাগরদিঘি দেখিয়ে দিল, একজোট হলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজেয় নন।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ”খোকাবাবু নতুন শাহেনশা। রাজ্য ঘুরতে বেরিয়েছেন। ওই নবজোয়ার নবভাঁটায় রূপান্তরিত করবে মানুষ।”
মহম্মদ সেলিমের (Md. Selim) বক্তব্য অবশ্য শ্রেণি সংগ্রামেরই সুর। তিনি বলেন, ”সিপিএম ও কংগ্রেস আখমাড়াই কলের মতো। দু’দিকের চাকায় দুর্নীতির রস নিংড়ে বের করতে হবে। আমরা দাবি করছি – গ্রাম জাগাও, দুর্নীতি ভাগাও। খেটে খাওয়া মানুষজন একজোট হলে রাজ্যে ক্ষমতা বদল সম্ভব। সেটাই হতে হবে আমাদের। আপনাদের বলছি, দুর্নীতি, তোলাবাজির এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে একজোট হন।” তবে এদিনের সভায় আইএসএফের অনুপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সমালোচনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.