Advertisement
Advertisement

Breaking News

সিপিএম

বিজেপির ভরসায় তৃণমূলের দখল থেকে পার্টি অফিস মুক্ত করল সিপিএম

বিজেপির জয়ে স্বস্তি বামেদের৷

CPIM recover their party office from TMC with the help of BJP
Published by: Tanujit Das
  • Posted:May 26, 2019 9:28 pm
  • Updated:May 26, 2019 9:28 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ছিল সিপিএমের। তারপর রঙ বদলে হয়েছিল শাসকদল তৃণমূলের। কিন্তু বিজেপির জয়ে ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল বামেদের৷ গেরুয়া শিবিরের ভরসায় শাসকের কবল থেকে এবার সেই কার্যালয় উদ্ধার করল সিপিএম৷ রবিবার পুরুলিয়ার পাড়া ব্লকের উদয়পুর-জয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েতে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন স্থানীয়রা৷

[ আরও পড়ুন: হাসপাতালে মোবাইলে ব্যস্ত নার্স! অক্সিজেনের অভাবে মৃত শিশু]

Advertisement

জানা গিয়েছে, এদিন তালা ভেঙে উদয়পুর লোকাল কমিটির কার্যালয়টি দখলমুক্ত করেন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূলের পতাকা নামিয়ে সর্বত্র ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সিপিএমের পতাকা৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অতীতে লালদুর্গ হিসাবেই পরিচিত ছিল ওই এলাকা৷ পরে শাসকের দখলে যায়৷ তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ওই বিধানসভায় ৪১ হাজারের বেশি লিড পায় বিজেপি। তাই গেরুয়া শিবিরের ওপর ভরসা করেই ওই পার্টি অফিস দখলমুক্ত করেছে সিপিএম। পাড়া ব্লকের বাসিন্দা তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীননাথ লোধা বলেন, “আমরা তৃণমূলের কাছ থেকে ওই কার্যালয় দখলমুক্ত করলাম। তবে ওখানে কোনও তালা ঝোলানো ছিল না। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ওখানে ওঠাবসা করত। আমরা এই কার্যালয় দখলমুক্ত করতে পারায় সোমবার থেকে দলের সমস্ত কার্যালয়ে বৈঠক হবে। আমরা আসবাবপত্রও নিয়ে আসছি।”

[ আরও পড়ুন: বিজেপিকে ভোট দেওয়ার ‘শাস্তি’, নালা পরিষ্কার না করার হুমকি পঞ্চায়েত সদস্যের ]

সূত্রের খবর, ২০১৬-তে সিপিএমের এই কার্যালয়টি দখলে নেয় তৃণমূল। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীননাথ লোধাকে হেনস্তা করা হয়৷ এরপরই ওই কার্যালয়টিতে ঘাসফুলের পতাকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়৷ যদিও ওই কার্যালয়ের পাশেই তৃণমূলের একটি অফিস রয়েছে। রবিবার সেই কার্যালয় বন্ধ ছিল। পাড়ার তৃণমূল বিধায়ক উমাপদ বাউরি বলেন, “২০১৬-র বিধানসভা ভোটের পর ওই এলাকায় সমস্ত সিপিএম নেতা-কর্মী তৃণমূলে চলে আসেন। ফলে ওই পার্টি অফিসে আর কেউ বসতেন না। আমরা ওই কার্যালয় দখল করিনি। সিপিএমের অভিযোগ ঠিক নয়। তাছাড়া ওখানেই আমাদের অফিস রয়েছে। সিপিএমের কার্যালয় দখল করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়।”

ছবি: সুনীতা সিং

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement