ফাইল ছবি।
অর্ণব দাস, বারাকপুর: বিধানসভায় যে জোট গঠন হয়েছিল লোকসভায় তা ভেঙেচুরে খানখান হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে নেমেছে আইএসএফ (ISF)। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এবার সিপিএম (CPIM) ও আইএসএফের যুদ্ধে দেখা গেল নতুন ‘টুইস্ট’। বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা আসনে সিপিএম নেতার ভাইকে প্রার্থী করল আইএসএফ। দল নাকি ভাই? কার পাশে থাকবেন, প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর রীতিমতো দোটানায় পড়লেন দাদা।
জোট জল্পনায় দাড়ি টেনে বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে আইএসএফ। সেখানে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে আইএসএফ-এর তরফে প্রার্থী করা হয়েছে আইনজীবী জামির হোসেনকে। যিনি আবার সিপিএম নেতা হাবিব আলির ভাই। সিপিএমের টিকিটে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বারাসত ১নম্বর ব্লকের ২৭নম্বর জেলা পরিষদের আসন থেকে লড়তে দেখা গিয়েছিল হাবিবকে। তাঁরই ভাই আইএসএফের প্রার্থী হওয়ায় রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে শিল্প শহরে। এদিকে ‘শ্যাম রাখি না কূল রাখি’ দশা হাবিবের। ভাই জামিরের হয়ে প্রচারে নামবেন নাকি সিপিএম প্রার্থীর হয়ে প্রচার করবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
এদিকে শুক্রবার বারাকপুরে কেন্দ্রে সিপিএমের তরফে দেবদূত ঘোষকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এই অবস্থায় বাম নেতা হাবিবের দাবি, ‘আমাদের এক পরিবার হলেও ভাই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। যেহেতু আমি একটি রাজনৈতিক দল করি আমার দলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। দল যা বলবে সেটাই করব।’ অন্যদিকে, আইএসএ প্রার্থী জামির হোসেন জানান, ‘প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগতভাবে রাজনৈতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। সেইমতো দাদা অন্য রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে। আমিও নীতি আদর্শ মেনে জন্মলগ্ন থেকে আইএসএফের সঙ্গে রয়েছি। জয়ী হওয়ার জন্য সকলের কাছে আশীর্বাদ চাইব, দাদার কাছেও চাইব।’
এদিকে দাদা ও ভাইয়ের এহেন রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা সিপিএম নেতা আহমেদ আলি খান বলেন, ‘হাবিব আমাদের দলের এরিয়া কমিটির নেতা। তাই দলের নীতি অনুযায়ী হাবিব সিপিএমের প্রার্থীর হয়েই প্রচার করবেন। যদি এর ব্যতিক্রম হয়, এবং আইএসএফের প্রার্থী হওয়া ভাইয়ের হয়ে বারাকপুরে ভোটপ্রচার করতে যান তাহলে দল তাঁকে বহিষ্কার করবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.