ফাইল ছবি।
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: গত মঙ্গলবারের পর রবিবার। পাঁচদিন পরেও ত্রাণ নিয়ে দলুয়াখাঁকি গ্রামে ফের বামেদের ঢুকতে বাধা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বাম কর্মী-সমর্থকরা। নতুন করে অশান্তি রুখতে গ্রামে বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেই দাবি পুলিশের।
রবিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে ত্রাণ নিয়ে গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করা হয়। গ্রামে ঢোকার আগে গুদামেরহাট বাম প্রতিনিধি দলকে আটকানো হয়। বাম নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। সিপিএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ত্রাণ নিয়ে এসেছি। ১৪৪ ধারা জারি নেই তা সত্ত্বেও আমাদের আটকাচ্ছে পুলিশ।”
অন্যদিকে, মহিলা সমিতির নেত্রী মোনালিসা সিনহাও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। জানান, “দলুয়াখাঁকির মহিলাদের পরিস্থিতি খুব কঠিন। তাঁদের এবং এলাকার শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আমরা গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের বাধা দেয় পুলিশ। ওরা শাসকদলের তাবেদারি করছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। যদিও বামেদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বারুইপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “গ্রামের লোক ছাড়া অন্য কাউকেই দলুয়াখাঁকিতে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়। আর সিভিক ভলান্টিয়ার নয়, পুলিশকর্মীরাই আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।”
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর সাতসকালে শুটআউটে খুন হন জয়নগরের স্থানীয় তৃণমূল নেতা সইফউদ্দিন লস্কর। পালটা নেতা খুনে যুক্ত সন্দেহে এক দুষ্কৃতীকেও পিটিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনার পরই দলুয়াখাঁকিতে একের পর এক সিপিএম নেতা-কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকে কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে যায় গোটা গ্রাম। তবে ঘটনার দিনকয়েক আগে থেকেই ধীরে ধীরে গ্রামে ফিরতে শুরু করেন মহিলারা। নিঃস্ব গ্রামবাসীদের ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়েই বারবার পুলিশি বাধার মুখে সিপিএম। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এবং কংগ্রেস প্রতিনিধি দলও পুলিশি বাধার মুখে পড়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.