বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎবরণ তোপদার।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তড়িৎবরণ তোপদার। একটা সময় যার নামই বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ত্রাস ছড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। কারণ, তাঁর হাতে ক্ষমতা ছিল। আজ ক্ষমতা নেই। কিন্তু মেজাজখানা আজও রয়ে গিয়েছে। এখনও মতের অমিল হলেই প্রকাশ্যে কাউকে আক্রমণ করতে দ্বিতীয়বার ভাবেন না তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। তড়িৎবরণ তোপদারের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাৎ তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। জিজ্ঞেস করা হয়, এই সাক্ষাতের পিছনে রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি না। প্রশ্ন শুনেই রেগে যান তড়িৎবরণ তোপদার। তাঁর মেজাজে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন সাংবাদিকেরা।
কয়েকদিন আগে জন্মদিনে তড়িৎবরণ তোপদারের বাড়িতে আর্শীবাদ নিতে গিয়েছিলেন অর্জুন সিং। সেখানে দীর্ঘক্ষণ থাকেন অর্জুনবাবু। এরপর সেই সাক্ষাৎ নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন, জন্মদিনে বিজেপি নেতা কি শুধুই আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন নাকি অন্য কোনও কারণ ছিল এই সাক্ষাতের পিছনে? প্রশ্নটি শুনেই রেগে যান তড়িৎবাবু। এরই মধ্যে ওই সাংবাদিক বলেন, ”শুনলাম আড়াই ঘণ্টা সেখানে ছিলেন।” এরপরই অশালীন ভাষায় প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করেন তিনি।
”কোন শুয়োরের বাচ্চা বলেছে?”, এই ভাষায় পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তড়িৎবাবু। ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিককে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেন। তিনি বলেন, ”এভাবে যা খুশি তাই প্রশ্ন করা যায় না। আমি করব তোমাকে যা খুশি প্রশ্ন? তোমার বাপ, মা তুলে আমি প্রশ্ন করব? ভাল লাগবে?” নিজে মুখে এ ধরনের কটূক্তি করে তিনি আবার ওই সাংবাদিককে ‘শিষ্টাচার’ শেখানোরও চেষ্টা করেন।
এই ঘটনা সামনে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে। নেটিজেনরা বলছেন, এমন প্রবীণ ব্যক্তিত্ব মাঠে, বাজারে নিজেই নিজেকে সকলের সামনে অবনত করছেন। কোনও রুচিশীল মানুষের পক্ষে এ ধরণের কথা বলা সম্ভব নয়। তড়িৎবরণ তোপদারের দাপট যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের কথায়, এত কিছুর পরও মানুষটা বদলায় নি। যদিও রাজনীতিবিদদের একাংশের দাবি, অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে তাঁর ‘গোপন বৈঠক’ ফাঁস হতেই এমন রেগে গিয়েছেন তিনি। তবে কারণ যাই হোক টানা ১৯ বছর সংসদীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একটি মানুষের কাছে এমন আচরণ অনভিপ্রেত, মত সকলেরই।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.