দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বিমানবন্দরে বিদায়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে আটকানোর ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রর্বতী। এই প্রসঙ্গে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বারুইপুরের দলীয় কার্যালয়ে পালটা সাংবাদিক বৈঠক করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কলকাতা বিমানবন্দর এলাকায় এমন কী ঘটল যার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের পুলিশকে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে হচ্ছে? তাঁর অভিযোগ, এই ভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপের জন্য সংবিধানের অস্তিত্বের সঙ্কট হচ্ছে। যা রাজীব কুমারের সময়েও হয়েছিল।
উল্লেখ্য, কলকাতা বিমানবন্দরে সোনা-সহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার একটি টুইট করেছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রর্বতী। সেই টুইটে তিনি বিমানবন্দরের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। টুইটটি প্রকাশ্যে আসার পর সুজয় বোস নামে এক ব্যাক্তি সুজন চক্রর্বতীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন। শুধু তাই নয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলার হুমকিও দেন ওই ব্যক্তি।
এই হুমকির ঘটনার পরিপেক্ষিতেই রবিবার সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেন সুজন চক্রবর্তী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বৈঠকে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইব না। উনি যদি মানহানির মামলা করেন তাহলে তা নিয়ে আমি আদালত পর্যন্ত যেতে রাজি আছি। তবে আদতে ওরা কিছুই করবে না। কারণ, ওদের মান নেই।” সেইসঙ্গে তিনি বলেন, “সেদিন বিমানবন্দরে কী হয়েছিল তা সব লোক জানে, বোঝে। একজন বিদেশে গিয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে কেন এফআইআর ও জিডি হবে? কোনও কারণ ছাড়া কাস্টমস, পুলিশ কেন বৈঠক করছে? হাজার-হাজার মানুষ তো যায় তাঁদের নিয়ে তো কিছু হয় না।” এপ্রসঙ্গে কেন্দ্র-রাজ্যকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “সবই দিদি-মোদির সেটিং। আমরা কোর্ট মনিটরে তদন্ত চাইছি। সাহস থাকলে সেটা করা হোক।”
ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, “বিমানবন্দরে শুল্ক দপ্তরের তল্লাশি করার কথা। সে ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ এত উৎসাহ দেখাচ্ছে কেন? যাঁর বিরুদ্ধে সোনা নিয়ে আসার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে যেমন তদন্ত দরকার। তেমনই শুল্ক দপ্তরের বিরুদ্ধে যে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেটারও তদন্ত প্রয়োজন। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত করুক। বিশেষ কমিটি গঠন হোক, তবেই ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.