Advertisement
Advertisement

Breaking News

Covid-19

Coronavirus: করোনার হানায় চিরতরে মা-বাবাকে হারিয়ে অপার অন্ধকারে নদিয়ার দুই কিশোর

এমন শিশুদের পাশে দাঁড়াতেই ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ও ‘ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ’র মানবিক প্রয়াস ‘আদর’।

Covid-19 left Souvik and Soumit as orphans, Ranaghat brothers spend days in dismay । Sangbad Pratidin
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:September 5, 2021 5:58 pm
  • Updated:September 5, 2021 6:09 pm  

অতিমারীতে এদের কেউ হারিয়েছে বাবাকে। কেউ বা মাকে। কেউ কেউ দু’জনকেই হারিয়ে নিঃস্ব, বিপন্ন। এমন শিশুদের পাশে দাঁড়াতেই  ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ও ‘ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ’র মানবিক প্রয়াস ‘আদর’। এমন শিশুদের সন্ধান জানাতে পারেন আপনিও। যোগাযোগ করুন ৯০৮৮০৫০০৪৮ নম্বরে।

বিপ্লব দত্ত , কৃষ্ণনগর: জীবনপথের গোড়াতেই আসমুদ্র শোক। করোনার হানায় স্নেহ হারিয়ে গিয়েছে চিরতরে। মা-বাবা বলে ডাকার কেউ নেই। অতিমারীর আগ্রাসনে আকস্মিক অভিভাবকহীন হয়ে অথৈ জলে পড়েছে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটের আড়ংঘাটার দুই ভাই সৌভিক আর সৌমিত সাহা।

Advertisement

যে বয়সটা শুধু লেখাপড়া আর খেলাধূলার, ভাইরাসের ছোবলে সেই নিশ্চিন্ত কৈশোরেই মাথায় কূলকিনারাহীন বোঝা। খাবার জোগাড়ের চিন্তা, ভবিষ্যৎ গড়ার ভাবনা। করোনার (Corona) ছোবলে শৈশব ছারখার হয়ে যাওয়ার ছবি বাংলাজুড়ে।

 নদিয়ার রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের আড়ংঘাটার এই দুই সহোদর যেন তারই মূর্তিমান প্রতীক। সৌভিকের বয়স ষোলো, সৌমিত আট বছরের। বাবা উৎপল সাহা রেডিমেড পোশাক তৈরির কাজ করতেন। করোনা আবহেও পুরোদমে কাজ করেছেন। সাহা পরিবারে বিপর্যয়ের মেঘ ঘনিয়ে আসে মে মাসের শুরুতে। উৎপলবাবু জ্বরে পড়েন, করোনা পরীক্ষায় দেখা যায় পজিটিভ। প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি হন কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে।

[আরও পড়ুন : Coronavirus: করোনা কেড়েছে পিতৃহীন কিশোর-কিশোরীর মায়ের প্রাণও, পড়াশোনা ভুলে চিন্তা দিন গুজরান নিয়ে]

কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারেননি উৎপলবাবু। ১৯ মে তাঁর মৃত্যুর ১৬ দিনের মাথায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালেই মারা যান উৎপলবাবুর স্ত্রী, মানে সৌভিক, সৌমিতের মা। দু’সপ্তাহের মধ্যে এভাবে বাবা-মাকে হারিয়ে সম্বলহীন দুই সন্তানের সামনে নেমে আসে অপার অন্ধকার।

আপাতত অনাথের নাথ একমাত্র কাকা। তবে তাঁরও আর্থিক অবস্থা ভাল নয়, টেনেটুনে সংসার চলে। তিনিই কোনওক্রমে বাবা-মা হারা দুই ভাইপোর ভার নিয়েছেন।

দুর্দৈবের আঘাতে ভেঙে পড়েছেন ঠাকুমা সন্ধ্যা সাহা। অশীতিপর বৃদ্ধা বিড়বিড় করেন, “আমি বেঁচে রয়েছি, ছেলে, ছেলের বউ চলে গেল। ঈশ্বর এত কষ্ট কেন যে দেন…।” সৌভিক দশম শ্রেণিতে উঠেছে, সৌমিতের সবে ক্লাস টু। ওদের লেখাপড়া চালানোর খরচ কীভাবে আসবে, কেউ জানে না। “ছেলের বড় ইচ্ছে ছিল, ওদের অনেক লেখাপড়া শিখিয়ে ভালভাবে দাঁড় করাবে। নিজেই তো চলে গেল! এবার কী হবে?” আকুল প্রশ্ন বৃদ্ধার।

[আরও পড়ুন: করোনা টিকা বিক্রিতে অভিযুক্ত ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক! তড়িঘড়ি সাসপেন্ড করল নবান্ন

পাশে চাই আপনাকেও 

এই সবহারানো অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়াতে পারেন আপনিও। সরাসরি অর্থসাহায্য পাঠানো যাবে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের অ্যাকাউন্টে।
State Bank of India, Ballygunge Branch,
A/C No : 30391077575
IFS Code : SBIN0003951
Mobile : 9433607740 (Debashish Maharaj)

বিঃ দ্র: টাকা পাঠানোর পর আপনার নাম,ঠিকানা ও সাহায্যের পরিমাণ স্ক্রিনশট-সহ হোয়াটসঅ্যাপ করুন 9433607740 ও 9088050048 নম্বরে। আমরা যথাসময়ে তা প্রকাশ করব। সাহায্যকৃত অর্থ 80G ধারা অনুযায়ী করমুক্ত।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement