শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা হোটেল উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri)। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আগাম নোটিস ছাড়াই এদিন ভাঙচুর চালিয়েছে পুলিশ।
দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাও হুঁশ ফিরছে না মানুষের। রাস্তার ধারে থাকা হোটেলগুলিতে ভিড় করছেন সকলে। একই ছবি জলপাইগুড়িতেও। করোনা এতটা ভয়াবহ আকার নেওয়া সত্ত্বেও তিস্তা নদীর পারে বিধি ভেঙে বাড়ছে জমায়েত। যা বাড়াচ্ছে সংক্রমণের সম্ভাবনা। সেই কারণে মঙ্গলবার নদীর চরে অবৈধ ভাবে গজিয়ে ওঠা হোটেল-রেস্তরাঁগুলোকে মঙ্গলবার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ।
বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশ কার্যকর করতে বুধবার সকাল থেকে তিস্তা পারের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। স্বাভাবিকভাবেই তাতে বাধা দেন স্থানীয়রা। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্থানীয়দের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে তাঁরা। সেখানে এক মহিলা পুলিশকর্মী আক্রান্ত হন। উত্তেজিত জনতার অভিযোগ, কোনও নোটিস ছাড়াই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে এলাকা। উল্লেখ্য, আজ দুপুরে কাজের অগ্রগতি নিয়ে সার্কিট বেঞ্চে রিপোর্ট পেশ করবে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের মোট ১৬, ৪০৩ জন। তাঁদের মধ্যে কমবেশি সব জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.