Advertisement
Advertisement

Breaking News

৮ বছর ধরে ফ্ল্যাট জবরদখল তৃণমূল কাউন্সিলরের! ফাঁকা করাল পুলিশ

অভিযোগ অস্বীকার কোন্নগর পুরসভার কাউন্সিলরের।

Court vacates TMC councilor from grabbed residence | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 24, 2023 9:36 pm
  • Updated:July 24, 2023 9:36 pm  

সুমন করাতি, হুগলি: আদালতের নির্দেশে অন্যের ফ্ল্যাট দখল করে থাকা তৃণমূল কাউন্সিলরকে উৎখাত করল পুলিশ। দীর্ঘ ৮ বছরের আইনি লড়াইয়ে জয় পেয়েছেন উত্তরপাড়ার ওই ব্যক্তি। তবে দখলদারির অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, প্রোমোটার একই ফ্ল্যাটের জন্য দুজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রোমোটারের মৃত্যু হওয়ায় কাউন্সিলর নিজের নামে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করাতে পারেননি।

অভিযোগ, কোন্নগর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক বহুতলের একতলার একটি ফ্ল্যাট দখল করে ছিলেন কোন্নগর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অসিত চক্রবর্তী। অথচ ২০০৬ সালে উত্তরপাড়ার ফ্ল্যাটটি প্রোমোটারের কাছ থেকে কিনেছিলেন কোন্নগরের বাসিন্দা সুপ্রিয় চৌধুরী। মিটিয়ে দিয়েছিলেন সব টাকাও। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাঁকে ফ্ল্যাট দিচ্ছিলেন না প্রোমোটার। এরপর অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় প্রোমোটারের। ২০১৪ সালে সুপ্রিয়বাবু জানতে পারেন তাঁর ফ্ল্যাটটি দখল করেছে তৃণমূল কাউন্সিলর অসিত চক্রবর্তী। এরপরেই জেলা ক্রেতা আদালতের দারস্থ হন সুপ্রিয়বাবু। তারপর দীর্ঘ আটবছরের আইনি লড়াইয়ের পর জয় পান তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গণবিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ মেঘালয়, হামলা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে, আহত ৫]

 

আদালত নির্দেশ দেয়, কাউন্সিলর যে ফ্ল্যাটটি দখল করে আছে তাঁর আসল মালিক সুপ্রিয়বাবু। তাই ফ্ল্যাটটি অবিলম্বে খালি করিয়ে সুপ্রিয়বাবুর হাতে তুলে দিতে হবে। আর সেই নির্দেশের পরেই তৃণমূল কাউন্সিলরের দখল থাকা ফ্ল্যাটটি বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে খালি করায়। পুলিশের ভূমিকায় খুশি সুপ্রিয়বাবু বলেন, “পুলিশকে যে এতটা পাশে পাওয়া যাবে ভাবা যায়নি। পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে।”

অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর অসিত চক্রবর্তী বলেন, “এই ফ্ল্যাটের জন্য টাকা দিয়েছিলেন প্রোমোটারকে। আমার কাছে সব বৈধ কাগজ আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রি করার আগেই প্রোমোটারের মৃত্যু হয়। তাই প্রোমোটার টাকা নিয়েও রেজিস্ট্রি করে দিতে পারেননি। এতে তাঁর কোনও দোষ নেই। আসল দোষ প্রোমোটারের। তিনিই টাকা নিয়ে দুজনের কাছেই একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করেছিলেন। আর যেহেতু রেজিস্ট্রি সুপ্রিয়বাবুর নামে ছিল তাই আইনি লড়াইয়ে তাঁর জয় হয়েছে।” নিজেই ফ্ল্যাট ফাঁকা করে দেবেন বলে পুলিশকে জানিয়ে ছিলেন। পুলিশের এভাবে এসে সেটা ফাঁকা করা ঠিক হল না বলেই মত তাঁর। এলাকার জনপ্রতিনিধি তিনি, কখনও কোনও ভুল কাজ করেননি। কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন দাস বলেন, “আইন সকলের জন্যই এক। সরকার কোনও সময়ই দোষীদের আড়াল করে না। পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে।”

[আরও পড়ুন: নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মিজোরাম থেকে অসমে ৪১ মণিপুরী শরণার্থী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement