সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অষ্টমীতে দেখা। চার ঘণ্টার মধ্যেই বিয়ে! পুজো মণ্ডপে দাঁড়িয়ে মাদুর্গাকে সাক্ষী রেখে সুদীপ যেভাবে প্রীতমার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছিলেন, তা হার মানিয়েছিল যে কোনও সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। গোটা বাংলায় এখন চর্চার শীর্ষে সুদীপ-প্রীতমার এই লাভ স্টোরি। বিয়ে যখন হয়েছে, হানিমুন তো আর বাদ যাবে না। তা মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাওয়ার প্ল্যান করছেন তাঁরা? সুদীপ নিজেই জানালেন সেকথা।
হিন্দমোটরের পুজো মণ্ডপে বিয়ে করে রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছেন এই দম্পতি। তাঁরা কখন কী করছেন, কেমন কাটছে তাঁদের নতুন জীবন, সকলেই তা জানতে আগ্রহী। সুদীপ বলছেন, “নতুন সংসারে দারুণভাবে অ্যাডজাস্ট করে নিয়েছে প্রীতমা। আমার বাড়িতে খুব ভাল লাগছে ওর। সত্যিই কোনও পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। হঠাৎই বিয়েটা করে ফেললাম। তবে সিদ্ধান্তটা একদম ঠিক ছিল। এবার দুই পরিবার চাইছে সামাজিক মতে আমরা আরেকবার বিয়েটা সারি।” ইতিমধ্যেই দুই পরিবারের মধ্যে এবিষয়ে কথাবার্তাও হয়েছে। দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলেই বিয়ের পিঁড়িতে বসে অগ্নি সাক্ষী রেখে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন তাঁরা। আর হানিমুন? হিন্দমোটরের যুবক কোনও রাখঢাক না করেই বললেন, “বিয়ে যখন করেছি, হানিমুনে তো যাবই। আপাতত ঠিক হয়েছে প্রথমে দিঘা যাব। কারণ ওটা প্রীতমার অত্যন্ত পছন্দের জায়গা। তারপর চিল্কা হয়ে দারিংবাড়ি যাব। অফিসের কাজও হবে, আর ঘোরাও।”
মাস তিনেকের ভারচুয়াল ভালবাসা কয়েক ঘণ্টায় পরিণয়ের রূপ নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রেমেতে মজে দুই মন। ভিডিও কল আর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের বাইরে বেরিয়ে পরস্পরকে ছুঁয়ে দেখার ক্ষিদেটাও বেড়েছিল একটু একটু করে। তাই মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার তর যেন সইছে না তাঁদের। দু’জনে নীরবে খানিকটা সময় একসঙ্গে কাটাতে উৎসুক হয়ে রয়েছেন। সুদীপ বলছেন, “সামাজিক মতে কবে বিয়ে হবে, এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। সেটা যদি দেরি হয়, তাহলে তার আগেই হানিমুনটা সেরে ফেলব। ইচ্ছা আছে, নভেম্বরেই দিঘার উদ্দেশে রওনা দেব।” স্ত্রীকে খুশি করতে স্বামী যে কোনও ঘাটতি রাখছেন না, তা তাঁর কথাবার্তায় বেশ স্পষ্ট। বিয়েটা আচমকা হলেও হানিমুনের প্ল্যানে কিন্তু কোনও ফাঁক ফোঁকড় থাকছে না। এমন সাজানো সংসার আর মনের মতো স্বামী পেয়ে চোখেমুখে খুশির রেখা বৈদ্যবাটির প্রীতমারও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.